Sukanta Majumdar: সুকান্তর সভায় হাইকোর্টের ‘হ্যাঁ’
Calcutta High Court: বাজার কমিটির সভাপতি মধুসুদন কারককে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন পরে অনুমতি প্রত্যাহার করলেন তিনি। তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করা হয়েছে। বিচারপতি মান্থা এদিন ওই বাজার কমিটির সভাপতিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা: হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপির। শেষ পর্যন্ত মিলল বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কেশপুরের সভার অনুমতি। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ এদিন সুকান্ত মজুমদারের সভার অনুমতি দিয়েছেন। কেশপুরের বিশ্বনাথপুরে বাজার কমিটির সভাপতি মধুসুদন কারক অনুমতি দিয়েও কেন শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করলেন? তা নিয়ে বিস্মিত আদালত। বাজার কমিটির সভাপতি ছাড়াও আরও দুইজন লিখিতভাবে আপত্তি জানিয়েছেন সভার ব্যাপারে। বিচারপতি মান্থা এদিন ওই বাজার কমিটির সভাপতিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাজার কমিটির সভাপতি মধুসুদন কারককে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন পরে অনুমতি প্রত্যাহার করলেন তিনি। তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করা হয়েছে।
কেশপুরের বিশ্বনাথপুরের ভাতশালা মাঠে সভা করার জন্য গ্রামের কমিটির তরফে ১৬ এপ্রিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু সেই অনুমতি দেওয়ার পরেও শেষ মুহূর্তে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গতকালই পুলিশের তরফে বিজেপিকে জানানো হয়েছিল যে কেশপুর থানার পুলিশের কাছে সভাস্থল নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি জমা পড়েছে। সেই কারণে ওই জায়গায় সভা করার অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে সভা করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি শিবির।
উল্লেখ্য, গতরাতে পুলিশের তরফে অনুমতি না দেওয়ার পর ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস অভিযোগ তুলেছিলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য ছিল, বাজার কমিটি ও গ্রাম কমিটির থেকে অনুমতি আগেই নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, এক্ষেত্রে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুদাইত জানিয়েছিলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখার দায়িত্ব পুলিশের। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী।’