Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলা, কোনও হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

Calcutta High Court: আগামী ২৭ অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফেও এ নিয়ে হাইকোর্টে যায়। তাদের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম একটি কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। অথচ পুলিশের কাছে এরকম কিছু তথ্য নেই। কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলা, কোনও হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2024 | 7:04 PM

কলকাতা: নবান্ন অভিযানে বিধিনিষেধ আরোপ করার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় এই মুহূর্তে কোনও হস্তক্ষেপ করল না বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। চার সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে। বিধিনিষেধ আরোপ চেয়ে মামলা করেন জনৈক আইনজীবী। সেই মামলায় এদিন শুনানি ছিল। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত রাজ্যের মামলারও শুনানি ছিল এদিন। একইসঙ্গে দু’টি মামলার শুনানি হয়।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

আগামী ২৭ অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফেও এ নিয়ে হাইকোর্টে যায়। তাদের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম একটি কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। অথচ পুলিশের কাছে এরকম কিছু তথ্য নেই। কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

এই খবরটিও পড়ুন

অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই আরজি কর সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন এই নবান্ন অভিযান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে এসওপি দেওয়ার কথা বলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য ছিল, ‘আমরা এ বিষয়ে কেন বলব? আইন তার নিজের মত চলবে।’ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে রাজ্যকে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি আদালত। তবে নির্বিচারে গ্রেফতারও চলবে না, তাও জানিয়ে দিয়েছে।

নবান্নের সামনে জমায়েত নয়, আর্জি নিয়ে মামলা করে রাজ্য। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, ‘রাজভবন, নবান্ন এই ধরনের জায়গায় জমায়েত করা যায় না। নবান্নে এর আগে ঝামেলাও হয়েছে।’ অন্যদিকে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর এদিন জানান, ‘ওই জায়গায় হাসপাতাল, বাস টার্মিনাস আছে। নবান্ন আছে। কর্মীরা আটকে পড়বেন। অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোথায় কর্মসূচি হচ্ছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে তা। পুলিশের কাছে কেউ কোনও অনুমতি নেয়নি। কিছু হলে কে দায়বদ্ধ থাকবে?’

হরিশ ট্যান্ডন প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা সব গাইডলাইন ফলো করেছেন? সবক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ মিছিলের কি অনুমতি নেন?’ জয়দীপ কর বলেন, ‘আমরা কিছু বন্ধ করতে চাইছি না। শান্তিপূর্ণ মিছিলের বিরুদ্ধে নই। আমরা রেগুলেট করতে বলছি।’

প্রসঙ্গত, ২৭ অগস্ট আবার ইউজিসি নেট পরীক্ষা। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এ নিয়ে লেখালেখি করছেন। নবান্ন অভিযান নিয়ে বিরোধীরা এখনও বিরোধিতারও বার্তা দেয়নি। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, এই আবহে প্রচুর মানুষের মিছিলে স্তব্ধ হতে পারে পথ। পরীক্ষার্থীদের হতে পারে চরম ভোগান্তি।