HC: প্যানেলে নাম নেই, ডিপিএসসি উত্তরের চেয়ারম্যানের ভাইয়ের চাকরি কীভাবে?, হাইকোর্টের রিপোর্ট তলব
DPSC: আদালতে পর্ষদ জানায়, অভিযোগ ওঠার পর ৩১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দেবব্রত সরকারের ভাইকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে আদালত ডিপিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে।
কলকাতা: আবারও প্রাথমিক নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল। ডিপিএসসির চেয়ারম্যানের (উত্তর) বিরুদ্ধে এবার অভিযোগের আঙুল। তিনি নিজের ভাইকে চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বিচারপতি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, ‘পরীক্ষার্থীর নাম এক হতে পারে। কিন্তু বাবার নামও এক হবে এটা হতে পারে না।’ যাবতীয় তথ্য নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল বা ডিপিএসসির চেয়ারম্যানকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ২০০৯ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ডিপিএসসি। ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০১১ সালে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে প্যানেল প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, সেই প্যানেলে নাম নেই, তারপরও চাকরি করছেন অনেকে। অভিযোগ ওঠে ডিপিএসসি চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকারের ভাই চাকরি পেয়েছেন। অথচ তাঁরও নাম নেই প্যানেলে।
আদালতে পর্ষদ জানায়, অভিযোগ ওঠার পর ৩১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দেবব্রত সরকারের ভাইকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে আদালত ডিপিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। বাকিদের বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। আর তা জমা দিতে হবে দু’ সপ্তাহের মধ্যে। ২২ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।