Justice Abhijit Ganguly: ‘ববিতার ভুল স্পষ্ট, চাইলেই শাস্তি দিতে পারত আদালত’, ‘দুঃখপ্রকাশ’ করেও নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Calcutta High Court: এদিন আদালতে ববিতা আর্জি জানান, কোনওভাবেই কি তাঁর কথা ভাবা যায় না? সেই প্রশ্নে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, 'মামলায় ববিতার ভুল স্পষ্ট। আদালত চাইলে তাঁকে শাস্তি দিতে পারত। সেটা হয়নি। সেটুকু স্বস্তি নিয়েই হাইকোর্ট থেকে যান।'
কলকাতা: ববিতা সরকারের (Babita Sarkar) চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার আবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি খোয়ালেন তিনি। অঙ্কিতার চাকরির যে টাকা ববিতা পেয়েছিলেন, সেই ১৫ লাখ টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ববিতা পরবর্তী একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষায় বসতে পারবে। ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় ববিতা প্রথম যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। কমিশন যাতে তাঁর কথা বিবেচনা করে, সেই কথাও জানিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে গোটা ঘটনা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন আদালতে ববিতা আর্জি জানান, কোনওভাবেই কি তাঁর কথা ভাবা যায় না? সেই প্রশ্নে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘মামলায় ববিতার ভুল স্পষ্ট। আদালত চাইলে তাঁকে শাস্তি দিতে পারত। সেটা হয়নি। সেটুকু স্বস্তি নিয়েই হাইকোর্ট থেকে যান।’
উল্লেখ্য, প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই চাকরি ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আদালতের নির্দেশের পর স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কাজও করছিলেেন তিনি। যাঁরা চাকরির দাবিতে এখনও আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের অনেকের কাছেই লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিলেন ববিতা। গতবছর অনেক জায়গায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধনেও যেতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রায় এক বছর কাজ করার পর আবার চাকরি হারালেন ববিতা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি হারালেন তিনি।
হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর আদালতের কাছে ববিতা আর্জি জানিয়েছিলেন, তাঁর বিষয়টি কি কোনওভাবেই ভাবা যায় না? সেই আর্জি শুনে বিচারপতি আরও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, এই মামলায় ববিতার ভুল রয়েছে এবং আদালত চাইলেই তাঁকে শাস্তি দিতে পারত। কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি আদালত এবং সেটাই ববিতার স্বস্তি।