Calcutta High Court: ৫ মিনিটেই TMC নেতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ বিচারপতির
Calcutta High Court: সম্প্রতি হাওড়া জেলায় তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষাসেলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সিরাজুলকে। ২০০১ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর চাকরি গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সে সময়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছিল।

কলকাতা: তৃণমূল শিক্ষক নেতা শেখ সিরাজুল ইসলামের চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, হাওড়া স্কুলের শিক্ষক নেতা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। কোনওভাবেই চাকরিতে রাখা যায় না। বুধবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকরী বলে স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি।
সম্প্রতি হাওড়া জেলায় তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষাসেলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সিরাজুলকে। ২০০১ সালে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁর চাকরি গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সে সময়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছিল। কিন্তু তারপরও তিনি চাকরি করে গিয়েছেন। এবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। আদালতে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। গত ১৩ মার্চ হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানি ছিল।
শ্লীলতাহানির মামলার পর আবার নিয়োগ দুর্নীতি- উভয় অভিযোগে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে সিরাজুলকে শিক্ষা সংক্রান্ত পদে নিয়োগ করা হল, জানতে চায় আদালত। কেন এফআইআর দায়ের করা হয়নি, তা নিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর কাছে ভর্ৎসিত হয় পুলিশ। শুনানির পরই এফআইআর দায়ের হয়।
কিন্তু ওই এফআইআর-এর প্রভাব যাতে চাকরিতে না পড়ে, তাই ফের আদালতের দারস্থ হন সিরাজুল। বুধবার সেই মামলার শুনানির ছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে।
বুধবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা গোটা মামলা শুনেই জানিয়ে দেন, ওই শিক্ষকের নিয়োগই সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই আজ থেকে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল।





