SLST Recruitment: র‍্যাঙ্ক নীচের দিকে থাকলেও কীভাবে মিলল চাকরি! সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কমিশন

SLST Recruitment: আগেই এসএলএসটি শিক্ষক নিয়োগের অন্য একটি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সে ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ করেছে রাজ্য।

SLST Recruitment: র‍্যাঙ্ক নীচের দিকে থাকলেও কীভাবে মিলল চাকরি! সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কমিশন
মালদহ বিস্ফোরণে দায়ের মামলা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2022 | 2:09 PM

কলকাতা : রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারবার। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। কখনও প্য়ানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ, কখনও প্য়ানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও হয়েছে নিয়োগ। ফের সেরকমই একটি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছে কমিশন। শুক্রবারই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করার অনুমতি চেয়েছিল কমিশন। কিন্তু একক বেঞ্চের নির্দেশের কপি না থাকায় মামলা নিল না ডিভিশন বেঞ্চ। কপি পাওয়ার পর মামলা করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

কী সেই মামলা?

বৃহস্পতিবারই ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়েক ডিভিশন বেঞ্চ। নবম ও দশম শ্রেনির ইতিহাস শিক্ষকের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।

চারজন মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল বানাতে হবে। তাঁদের দাবি, যারা যোগ্য তাদের ডাকেনি কমিশন। শেখ ইনসান আলি, যাঁর র‍্যাঙ্ক নীচের দিকে ছিল, তিনি চাকরি পান বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। মামলাকারীদের র‍্যাঙ্ক ছিল ওপরের দিকে।

গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি তথ্য জানার অধিকারে মামলাকারী স্কুলের কাছে জানতে চান ইনসান আলির সম্পর্কে। সেখানে জানা যায় ইনসান ওবিসি প্রার্থী। নিয়োগের ছ বছর পর কেন মামলা দায়ের হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও সে কথা কানে তোলেনি আদালত। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি।

এসএলএসটি নিয়োগে আগেও উঠেছে অভিযোগ

প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন দুজন। আগেই এমন অভিযোগ উঠেছে এসএলএসটি-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে। সেই মামলাতেও সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য। জুঁই দাস ও আজাদ আলি মির্জার নাম ছিল না প্যানেলে, তা সত্বেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ ওঠে। এই দুর্নীতির পিছনে কারা আছে তাঁদের খুঁজে বের করতেই সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন : SSKM Hospital: কাজলের বাক্স গলায় চলে গিয়েছিল, শরীরে অক্সিজেন মাত্রা তখন ৫০! ৮ মাসের শিশুর জীবন ফেরাল এসএসকেএম

আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: মমতার নামে মোদীকে ‘নালিশ’ শুভেন্দুর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফোন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী