AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSKM Hospital: কাজলের বাক্স গলায় চলে গিয়েছিল, শরীরে অক্সিজেন মাত্রা তখন ৫০! ৮ মাসের শিশুর জীবন ফেরাল এসএসকেএম

SSKM Hospital: সাড়ে ন'টার সময় শিশুকে এস‌এসকেএমে রেফার করা হয়‌। সকাল ১০টা নাগাদ এস‌এসকেএমের এমার্জেন্সিতে রীতেশকে নিয়ে যখন তাঁর বাবা পৌঁছন, তখন শিশু কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।

SSKM Hospital: কাজলের বাক্স গলায় চলে গিয়েছিল, শরীরে অক্সিজেন মাত্রা তখন ৫০! ৮ মাসের শিশুর জীবন ফেরাল এসএসকেএম
কাজলের কৌটো গলায় আটকে মৃত্যু শিশুর (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2022 | 12:34 PM
Share

কলকাতা: খেলতে খেলতে কাজলের বাক্স হাত ফস্কে চলে গিয়েছিল গলায়। আট মাসের শিশুর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল ৫০-এ। এক সরকারি হাসপাতাল প্রাণ বাঁচাল সেই শিশুর। শহর কলকাতায় অবস্থিত আরেক হাসপাতালের ভূমিকায় উঠল প্রশ্ন। শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ আট মাসের শিশু রীতেশ বাগদি খেলতে খেলতে গিলে ফেলেছিল গোলাকৃতি কাজলের বাক্স। এরপর থেকেই একরত্তি শিশুর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। নিউটাউনের বাসিন্দা মেঘনাথ বাগদি তাঁর কোলের শিশুকে নিয়ে প্রথমে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে যান। সেখান থেকে রীতেশকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এন‌আর‌এসে। শিশুটার তখন প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সেই শিশুকে কোলে নিয়েই এন‌আর‌এসের জরুরি বিভাগ-ইএনটি-শিশুশল্য বিভাগে চক্কর কাটতে নষ্ট হয়ে যায় মূল্যবান দেড় ঘণ্টা সময়।

সাড়ে ন’টার সময় শিশুকে এস‌এসকেএমে রেফার করা হয়‌। সকাল ১০টা নাগাদ এস‌এসকেএমের এমার্জেন্সিতে রীতেশকে নিয়ে যখন তাঁর বাবা পৌঁছন, তখন শিশু কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এস‌এসকেএম সূত্রের খবর, শিশুকে যখন এন‌আর‌এসে নিয়ে যাওয়া হয় তখনই রীতেশের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৫০ শতাংশে নেমে গিয়েছে। এস‌এস‌কেএমে যখন রীতেশ পৌঁছয় তখন তাঁর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যাচ্ছে না। ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে কাজলের বাক্স বার করা মাত্র শিশুটি শ্বাস নিতে শুরু করে। এখন পিকুতে চিকিৎসাধীন ওই শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল।

এস‌এসকেএমের চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, ল্যারিঙ্গোস্কোপির পরিকাঠামো এন‌আর‌এসের মতো মেডিক্যাল কলেজে নেই, এটা অবিশ্বাস্য। শিশুর যেখানে ৫০ শতাংশ অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছে সেখানে উপযুক্ত চিকিৎসা না করে মরণাপন্ন শিশুকে রেফার করা ঠিক হয়নি।

শিশুটির বাবা বলেন, “এনআরএস থেকে আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমার ছেলেটা তখন প্রবল শ্বাসের সমস্যায় ভুগছি। দেড় ঘণ্টা এনআরএসেই এদিক-ওদিক ঘুরছিলাম। কোনও চিকিৎসাই হয়নি সেখানে। প্রথমে বলল ৩ নম্বর গেটে যেতে, ওখানে গিয়ে ডাক্তারবাবুরা বললেন এখানে হবে না। এই বিভাগ ওই বিভাগ ঘোরাচ্ছিলেন সকলে। তারপর এসএসকেএমে চিকিৎসা হয়।”

আরও পড়ুন: অফিস গোয়ার্স’দের জন্য দারুণ খবর! অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া কমল অনেকটাই…এবার নয়া নিয়মে পয়সা উসুল যাত্রীদেরই

আরও পড়ুন: মার্চ থেকেই কি তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা বাংলায়? কী স্মরণ করাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা?