বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে কোথায় কত মামলা, এবার খতিয়ে দেখা শুরু কলকাতা হাইকোর্টের

MP/MLA Court: এই মামলা শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। এখানে দায়ের হওয়া মামলায় বলা হয়েছিল, বিধায়ক ও সাংসদরা যে সমস্ত মামলায় যুক্ত রয়েছেন, সেগুলি প্রভাবশালীদের ভয়ে ঠিকমতো এগোচ্ছে না।

বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে কোথায় কত মামলা, এবার খতিয়ে দেখা শুরু কলকাতা হাইকোর্টের
TET নিয়োগে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2021 | 3:39 PM

কলকাতা: রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি ও আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গতি আনার নির্দেশ দিল আদালত। সমস্ত নথি বিধাননগর আদালতকে জমা দিতে হবে বারাসত আদালতের, এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এই মামলা শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। এখানে দায়ের হওয়া মামলায় বলা হয়েছিল, বিধায়ক ও সাংসদরা যে সমস্ত মামলায় যুক্ত রয়েছেন, সেগুলি প্রভাবশালীদের ভয়ে ঠিকমতো এগোচ্ছে না। এর পরই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি। যার জেরে প্রত্যেক রাজ্যের হাইকোর্ট নিজেদের মতো করে মামলাগুলির গতিবিধি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা শুরু করে।

সেখানেই দেখা গিয়েছে, এ রাজ্যের রেজিস্ট্রার জেনারেল যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় ২০০-৩০০ মামলা পড়ে রয়েছে বিশেষ আদালতে। এক সময় বারাসত আদালতে সাংসদ, বিধায়কদের যাবতীয় মামলা চলত। বিধাননগরে সেই বিশেষ আদালত চলে যাওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে মামলার কোনও গতি নেই। এই সমস্ত বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের রিপোর্টে। একই সঙ্গে দেখা গিয়েছে, বারাসত আদালতে এখনও এ সংক্রান্ত মামলাগুলির বহু নথি পড়ে রয়েছে। সামান্য দূরে বিধাননগর, তবু সেখানে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

এই ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী ৪ অগস্টের মধ্যে যাবতীয় রিপোর্ট, নথি বিধাননগর আদালতে পাঠাতে হবে। যাতে এই মামলার দ্রুত শুনানি হয়। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন লিগাল এজেন্সি ও কেন্দ্রের এজেন্সি তারাও আগামী ৪ তারিখের মধ্যে জানাবে কত মামলা জমা রয়েছে। অর্থাৎ এবার রাজ্যের বিধায়ক, সাংসদদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া পূর্ণ উদ্যমে শুরু করতে চাইছে আদালত। আরও পড়ুন: উজ্জ্বল রংধনু বাংলার আকাশে, প্রথমবার রাজ্যের লিগাল প্যানেলে তৃতীয় লিঙ্গের আইনজীবী অঙ্কন বিশ্বাস