নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ রাজ্য! তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির

Calcutta High Court: গত মার্চ আসে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, এ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এর জন্য একটি টাস্ক ফোর্সও তিনি তৈরি করে দেন।

নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ রাজ্য! তীব্র ভৎর্সনা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2021 | 4:59 PM

কলকাতা: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির নির্দেশের পরও কেন আটকানো গেল না অবৈধ নির্মাণ, এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার রাজ্যকে তীব্র ভৎর্সনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ রাজ্য।

বিধাননগরের দু’টি ওয়ার্ড ৩৫ ও ৩৬। এখানকার নবপল্লি শান্তি নগর ও ন’ভাগা এলাকার দুই বাসিন্দা একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁরা আদালতের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, নগর উন্নয়ন দফতরের জায়গায় বেআইনি নির্মাণ চলছে। সেই জমিতে কোথাও বহুতল, কোথাও বা রাস্তার উপরে বাড়ি উঠে এসেছে। এর ফলে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার টেন্ডার ঢুকতে পারবে না ওই এলাকায়। অভিযোগকারীদের তরফে এই মামলা লড়ছেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য।

গত মার্চ আসে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, এ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এর জন্য একটি টাস্ক ফোর্সও তিনি তৈরি করে দেন। সেই সময় তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, এখানে কোনও ভাবে পুরসভাও যুক্ত রয়েছে। না হলে কী ভাবে এত বেআইনি নির্মাণ সম্ভব।

শুক্রবার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের এজলাসে যখন এই মামলার শুনানি হয়, তখন তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশ সত্ত্বেও কী ভাবে রাজ্য চুপ করে বসে রয়েছে? রাজ্যের বক্তব্য ছিল, যে জায়গায় এই অবৈধ নির্মাণগুলি রয়েছে সেখানে বহু মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের একটা আবেগ রয়েছে। ফলে জনরোষের সামনে রাজ্য পড়তে পারে এই আশঙ্কা থেকেই ব্যবস্থা করা যায়নি।

এতেই অত্যন্ত বিরক্ত হন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। রাজ্য নিজের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছে না বলে পর্যবেক্ষণ তাঁর। জনরোষের কথা ভেবে কোনও রাজ্য পদক্ষেপ করতে পিছু পা হবে, এটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। তা হলে তো সে রাজ্য নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বলতে হবে, মত প্রধান বিচারপতির। আগামী ৯ অগস্ট এই মামলার শুনানি হবে। সেই সময় রাজ্য কী ব্যবস্থা নিল তা জানাতে হবে আদালতকে। আরও পড়ুন: বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে কোথায় কত মামলা, এবার খতিয়ে দেখা শুরু কলকাতা হাইকোর্টের