Horse Cart: ময়দানের ঘোড়া নিয়ে কী ভাবনা রাজ্যের? চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলল হাইকোর্ট
Horse Cart in Kolkata: ঘোড়ার গাড়ি চালানোর পক্ষে কি রাজ্য সরকার? ময়দানে ঘোড়া নিয়ে রাজ্যের কী ভাবনা (নীতি) রয়েছে রাজ্য সরকারের? আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
কলকাতা : কলকাতা শহরের অন্যতম চেনা ছবি ময়দানের ঘোড়ার গাড়ি (Horse Cart)। কলকাতার কথা বললে বাইরের মানুষদের চোখের সামনে যে দৃশ্যগুলি ফুটে ওঠে, তার মধ্যে একটি এই ঘোড়ার গাড়ি। কিন্তু ময়দানে ঘোড়ার গাড়ির ভাগ্যে আগামী দিনে কী রয়েছে, তা এখন ঝুলে রয়েছে আদালতে। ময়দানে ঘোড়ার গাড়ি বন্ধ করার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এবার ময়দানের ঘোড়া চালানো নিয়ে রাজ্য কী ভাবছে, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘোড়ার গাড়ি চালানোর পক্ষে কি রাজ্য সরকার? ময়দানে ঘোড়া নিয়ে রাজ্যের কী ভাবনা (নীতি) রয়েছে রাজ্য সরকারের? আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
আদালতের কাছে মামলাকারীর আর্জি ছিল, দ্রুত একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হোক, যারা ঘোড়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে। বেশ কিছু ঘোড়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ঘোড়ার মালিকরা তাদের কোনও পরীক্ষা করতে চাইলে, রাজ্যের মাধ্যমে করতে হবে। পাশাপাশি ঘোড়ার মালিকদের পাল্টা বক্তব্য, তাদের লাইসেন্স আটকে রয়েছে পুরনিগমের জন্য। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ঘোড়ার মালিকদের আশ্বাস দিয়েছেন মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাঁদের বক্তব্য শোনা হবে। আদলতে ১৬ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
শহর কলকাতা আর ময়দানের ঘোড়ার গাড়ি – বাইরের রাজ্যগুলির কাছে এমনকী বিদেশের দরবারেও এই ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ির যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তাতে মামলাকারীর অভিযোগ, যেভাবে ময়দান এলাকায় ঘোড়াগুলিকে দিয়ে যাত্রী বহন করা হয়, তা পশু নির্যাতনের চূড়ান্ত নিদর্শন। এই পরিস্থিতিতে ময়দানে ঘোড়ার গাড়ি চালানো বন্ধ করার দাবি করেছিলেন ওই মামলাকারী। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ময়দান চত্বরে ওই ঘোড়াগুলি শারীরিকভাবে যথেষ্ট দুর্বল। তাদের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া হয় না, ঠিক করে খেতে দেওয়া হয় না, এমনকী চিকিৎসাও করানো হয় না ঠিক মতো। এমন অবস্থায় ঘোড়ার গাড়িতে যাত্রী তোলা একপ্রকার পশু নির্যাতন বলেই দাবি মামলাকারীর।
অন্যদিকে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছিল, ঘোড়ার গাড়ি চালানোর জন্য তারা একটি নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করেছে। কিন্তু সেই নীতি কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে রাজ্যের থেকেও আদালতকে জানানো হয়েছিল,ঘোড়াগুলির উপর কোনওরকম নিষ্ঠুরতা বরদাস্ত করা হবে না।