Calcutta High Court : জমি অধিগ্রহণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের, গ্যাস পাইপলাইনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন উত্তরবঙ্গের মানুষ

Calcutta High Court : গ্যাস অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (GAIL) বিহারের বারাবউনি থেকে অসমের গুয়াহাটি পর্যন্ত গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কথা ছিল। শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার প্রায় ১৮৯ কিলোমিটার এলাকা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট সেই কাজে জমি অধিগ্রহণে স্থগিতাদেশ জারি করে।

Calcutta High Court : জমি অধিগ্রহণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের, গ্যাস পাইপলাইনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন উত্তরবঙ্গের মানুষ
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 1:09 AM

কলকাতা : গ্যাস অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (GAIL) বিহারের বারাবউনি থেকে অসমের গুয়াহাটি পর্যন্ত গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কথা ছিল। শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার প্রায় ১৮৯ কিলোমিটার এলাকা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হত। এই প্রকল্পটি রূপায়িত হলে বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য জমি নিয়ে জট বেঁধেছিল বহুদিন আগেই। এবার এই নিয়ে রায় শোনাল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট পেট্রোলিয়াম ও খনিজ পাইপলাইন আইন ১৯৬২ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী জারি করা বিজ্ঞপ্তি খারিজ করল। এই প্রকল্প সাধারণ বিচারের বিঘ্ন ঘটায় বলেই জানিয়েছে আদালত।

এই প্রকল্পে বাস্তবায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে গেইল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। সেই মামলারই শুক্রবার রায় দেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। এই বেঞ্চ জানিয়েছে, পেট্রোলিয়াম ও খনিজ পাইপলাইন আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী, গেইল কর্তৃপক্ষকে আবদেনকারীর বক্তব্য শুনতে বাধ্য। আবেদনকারীর বা জমির ব্যবহারকারীর জমি অধিগ্রহণের আগে তাঁদের বক্তব্য শুনতে হবে। এদিনের রায়ে বলা হয়েছে, ৫(১) ধারার পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারী আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে ৫(২) ধারায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই আপত্তি বিবেচনা করেনি। কিন্তু আইন অনুযায়ী তা করা দরকার ছিল বলেই জানা গিয়েছে।

এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাধারণ বিচারের নীতি মেনে চলা প্রয়োজন। কোর্ট আরও বলেছে, “সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে এই আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে যেহেতু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আপত্তির বিষয়ে জানানো হয়নি, তাই শুনানির সুযোগ দেওয়া যায়নি। দরখাস্তকারীকে শুনানির সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতি মেনে চলার স্বার্থে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে এই আপত্তির কথা জানানো হতে পারে।” শেষ পর্যন্ত কোর্টের তরফে বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবে তা এক সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীকে জানাতে হবে।