Calcutta High Court: ‘তদন্তের বদলে তারা কী এসব করবে?’ তিলোত্তমার পরিবারের মামলা আদৌ হাইকোর্ট শুনবে? ঠিক করবে ডিভিশন বেঞ্চ
Calcutta High Court: তিলোত্তমার পরিবারের তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র বলেন, "আমরা সিবিআই তদন্ত চাইনি ডিভিশন বেঞ্চে। স্বচ্ছ তদন্তের কথা বলছি।" সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, "এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। সেখানে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।"
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকাকালীনও আরজিকর মামলা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ শুনতে পারবে কি না, ঠিক করবে ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলা একক বেঞ্চ শুনবে কি না তা স্পষ্ট করতে পরিবারকে উপযুক্ত বেঞ্চে যেতে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। যদিও মামলা তিনি নিজের কাছেই রেখেছেন। ডিভিশন বেঞ্চ কী নির্দেশ দেয়, তা আগামী ১৫ জানুয়ারি জানাতে হবে একক বেঞ্চে।
তিলোত্তমার পরিবারের তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র বলেন, “আমরা সিবিআই তদন্ত চাইনি ডিভিশন বেঞ্চে। স্বচ্ছ তদন্তের কথা বলছি।” সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, “এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। সেখানে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।”
এরপর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানতে চান, “আদতে শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন বিষয়ের বাইরে নতুন কিছু নিয়ে আবেদন করেছেন কি না?” পরিবারের তরফে আইনজীবী বলেন, “হাইকোর্টে চিকিৎসকরা মামলা করেছিলেন। পরিবার শুধু পার্টি হয়েছে। সিবিআই কোথায় কী কী পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে সেটা নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে।”
তখন সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বলেন, “আমরা পরিবারের কষ্ট বুঝতে পারছি। আমরা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছি। পাঁচ ছটা মামলা হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টে আমাদের উপর আস্থা রেখেছে।”
পরিবারকে বিচারপতি বলেন, ” শীর্ষ আদালত এই মামলা মনিটর করছে। কিছু জুডিশিয়াল ডেকরম আছে। ক্রিমিন্যাল রিভিশন হলে আলাদা কথা ছিল।” তীব্র আপত্তি জানান তিলোত্তমার পরিবারের আইনজীবী। তিনি বলেন, “না কেউ মনিটর করছে না।”
তখন বিচারপতি তাঁদের বলেন, “ডিভিশন বেঞ্চে যান। তারা যদি স্পষ্ট করে এই বেঞ্চ শুনতে পারে আমার কোনও আপত্তি নেই। নাহলে ভবিষ্যতে আপনারাই বিপদে পড়তে পারেন।” এই মামলায় বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “একটা তদন্তকারী সংস্থা কটা ফোরামে যাবে? তদন্তের বদলে তারা কী এসব করবে?”