জোড়াবাগান কাণ্ড: ৭৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পুলিশের, দোষী সাব্যস্ত হলে হতে পারে ফাঁসির সাজা
সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রথম কোনও নাবালিকা গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডিবি ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।
কলকাতা: জোড়াবাগানে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এ বার চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শুক্রবার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, চার্জশিটে নাম রয়েছে ধৃত কেয়ারটেকার রামকুমার ও আরেক ধৃত রণবীরের। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই চার্জশিট জমা দিয়েছে। ঘটনার ঠিক ৭৮ দিনের মাথায় আদালতে এই চার্জশিট জমা করল পুলিশ।
চার্জশিটে সবচেয়ে যে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি দেখা গিয়েছে তা হল, সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রথম কোনও নাবালিকা গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডিবি ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। ১২ বছরের কমবয়সী কোনও নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাধারণত এই ধারা প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এই ধারায় অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড অর্থাৎ ফাঁসির সাজা পর্যন্ত হতে পারে। সাম্প্রতিক সময় একাধিক গুরুতর অপরাধের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ যে ধরনের ধারা প্রয়োগ করেছে, তার মধ্যে এই ধারা প্রয়োগ অবশ্যই বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রক্তচক্ষু কোভিডের, সোমবার থেকেই কমছে মেট্রোর সংখ্যা
প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রুয়ারি জোড়াবাগান থানা এলাকা থেকে একটি নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে হাড়হিম করা তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নৃশংসভাবে খুন করার আগে গণধর্ষণ করা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। মামার বাড়ি ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ৮ বছরের ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় রামকুমার ওরফে মহম্মদ হালিম আনসারি তারই সঙ্গী রণবীর তাঁতিকে।
আরও পড়ুন: জঙ্গলে ঝুলছে বিজেপি কর্মীর দেহ! কপালে ফেট্টিতে লেখা ‘জয় শ্রী রাম’