Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CU VC on Chancellor: ‘স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন না’, আচার্য বোসকে ‘সার্টিফিকেট’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের

CU VC on Chancellor: শুধুমাত্র ভাল কাজ করার জন্য আচার্য অভিনন্দন জানান। আর কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করেন না। TV9 বাংলা-কে এমনটাই জানালেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

CU VC on Chancellor: 'স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন না', আচার্য বোসকে 'সার্টিফিকেট' কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের
একান্ত সাক্ষাৎকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যেরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2023 | 8:25 PM

কলকাতা: শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব বরাবরই ছিল। বাম জমানা থেকে তৃণমূলের শাসনকাল, সর্বত্রই একই ছবি দেখা গেলেও এবার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এমনটাই দাবি করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন। সেই নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক হয়েছে অনেক। শীর্ষ আদালতে এই ইস্যুতে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে রাজ্যপালকে। কিন্তু রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার যে দাবি জানানো হচ্ছে, তা নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন উপাচার্য।

TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্তা দত্ত দে বলেন, “বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিল। বাম জমানায় ছিল। তৃণমূলের আমলেও ছিল। তবে গত ৪ মাস ৯ দিনে একটা দিনও আচার্য কোনও ফোন করেননি। পরিচালনায় কোনও হস্তক্ষেপ করেননি। স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যে স্বশাসিত, সেটা উনি করে দেখাচ্ছেন।” শুধুমাত্র ভাল কাজ করার জন্য আচার্য অভিনন্দন জানান বলেও জানিয়েছেন উপাচার্য।

সি ভি আনন্দ বোস-কে বিচক্ষণ, বিদ্বান বলে উল্লেখ করে শান্তা দত্ত বলেন, শিক্ষক জীবনে এক গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে দেখেছিলাম যাঁকে আচার্য হিসেবে খুব শ্রদ্ধা করতাম আর এখন আনন্দ বোসকে শ্রদ্ধা করি। তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্য ও রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব একেবারেই কাম্য নয় বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, মামলা চলাকালীন রাজ্যপাল কীভাবে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে শান্তা দত্ত দে-র মতে, অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন আচার্য।

এদিকে আচার্য বিল নিয়েও চলছে তরজা। মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে যে বিল আনা হয়েছে, তাতে সই করছেন না রাজ্যপাল। এই ইস্যুতে কিছুদিন আগে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন উপাচার্যদের একাংশ। সেই প্রসঙ্গে উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, “যাঁরা রাজ্যপালের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁরা যদি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের প্রশ্ন করেন, তাঁরা যখন উপাচার্য বা সহউপাচার্য হয়েছিলেন, তাঁরা তখন প্রফেসর ছিলেন?”