Indian Navy: শত্রুপক্ষের ব়্যাডারকে ফাঁকি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হানায় সিদ্ধহস্ত, মমতা-দ্রৌপদীর হাত ধরে কলকাতায় জলে নামল INS বিন্ধ্যাগিরি

Indian Navy: এদিন গার্ডেনরিচে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।

Indian Navy: শত্রুপক্ষের ব়্যাডারকে ফাঁকি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হানায় সিদ্ধহস্ত, মমতা-দ্রৌপদীর হাত ধরে কলকাতায় জলে নামল INS বিন্ধ্যাগিরি
শক্তি বাড়ছে নৌসেনার Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2023 | 8:38 PM

কলকাতা: বাড়ছে ভারতীয় সেনার (Indian Army) শক্তি। সেনায় যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এবং অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যাডভান্স স্টেলথ ফ্রিগেট। শত্রুপক্ষের র‌্যাডারকে ফাঁকি দিয়ে পাল্টা আঘাত করতে এই অত্যাধুনিক ক্ষমতা সম্পন্ন ফ্রিগেটের জুড়ি মেলা ভার। খাতায় কলমে এই ফ্রিগেটের নাম দেওয়া হয়েছে আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি। নীলগিরি গোত্রের P17A প্রকল্পের এই ফ্রিগেটটি এদিনই জলে ছাড়া হল। আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)। সূত্রের খবর, P17A ক্লাসের শেষতম ফ্রিগেট এটি। 

এদিন গার্ডেনরিচে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল পি হরি কুমার, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস  সহ জিআরএসই এবং নৌবাহিনীর শীর্ষকর্তারা। ভারতের নৌবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট সাতটি এই P17A প্রকল্পের ফ্রিগেট তৈরি করার জন্য বরাত পায় মাঝগাঁও ডক ইয়ার্ড (এমডিএল) এবং গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)। গত তিন বছরে জিআরএসই দু’টি ফ্রিগেট তৈরি করে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। শেষতম ফ্রিগেটটি এদিন জলে নামল। অন্যদিকে, এমডিএল এর শেষতম এই গোত্রের ফ্রিগেটটি আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জলে নামানো হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল পি হরি কুমার। 

এদিন রাষ্ট্রপতি নিজের বক্তব্য বলেন, “ভারতীয় জল সীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনী ভূমিকা অপরিসীম। আত্মনির্ভর ভারত তৈরি করার ব্যাপারে দেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হওয়ায় ভারতবর্ষ নিজের দেশকে সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারে সবদিক থেকে সক্ষম।” ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্তাদের কথায়, এই রণতরী সমুদ্রের অন্দরে গিয়ে ‘আড়াল’ খুঁজে নিতে পারে। পাশাপাশিই শত্রুপক্ষের র‌্যাডারের নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে হামলা চালাতে পারে দ্রুত। শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হেনে ধ্বংস করতে পারে শত্রুর জলযান বা আস্ত বন্দর।