Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত কতদূর এগিয়েছে? CBI-র থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
Calcutta High Court: আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই-কে এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কী কী অগ্রগতি হয়েছে, সেই নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই-কে এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন হঠাৎ সিবিআই-র থেকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট চাইল আদালত? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায় জামিনের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই জামিন মামলার শুনানিতেই এদিন সিবিআই-এর থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত। এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত কতটা অগ্রসর হয়েছে, তা দেখতে চাইছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইডি ও সিবিআই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই আলাদাভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। শাসক দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক মিডলম্যান ধরা পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের জালে। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রসন্ন রায়ও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম মিডলম্যান হিসেবে অভিযুক্ত এই প্রসন্ন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে নিম্ন আদালতে একাধিকবার প্রসন্নদের জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে। তার জেরে গ্রেফতারির পর বার বার জামিনের আর্জি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি প্রসন্নর। গোয়েন্দাদের সন্দেহ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম মিডলম্যানের ভূমিকা রয়েছে প্রসন্ন রায়ের।
কিন্তু প্রসন্নর আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা কোনও প্রমাণ্য তথ্য দেখাতে পারেনি। অকারণে তাঁকে এতদিন জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়। এই নিয়ে হাইকোর্টেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রসন্নর আইনজীবী। সেই মামলার শুনানির সময়েই এবার সিবিআই-এর এসএসসি গ্রুপ ডি মামলার তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।