Calcutta High Court: অঙ্কিতার থেকে পাওয়া ১৫ লক্ষ আলাদা করে রাখার নির্দেশ ববিতাকে, চাকরি নিয়ে রয়ে যাচ্ছে জট

Babita Sarkar: ববিতা ও অনামিকা, উভয়ের বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিদ্যা, অনামিকা রায়ের র‍্যাঙ্ক ছিল ২১। ২৪ জুলাই মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতার চাকরি যায় আদালতের নির্দেশে।

Calcutta High Court: অঙ্কিতার থেকে পাওয়া ১৫ লক্ষ আলাদা করে রাখার নির্দেশ ববিতাকে, চাকরি নিয়ে রয়ে যাচ্ছে জট
ববিতা সরকার ও অনামিকা রায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2023 | 6:48 PM

কলকাতা: ববিতা সরকারের (Babita Sarkar) চাকরি নিয়ে জট রয়েই গেল। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার কাছ থেকে পাওয়া টাকা আলাদা অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মামলায় জয়ী হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতার পদে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। তাঁর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে অনামিকা রায়। শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে ববিতা যে নম্বর পেয়েছেন, তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন অনামিকা। তাঁর দাবি, আসলে ববিতার নয়, অঙ্কিতার জায়গায় চাকরি পাওয়ার কথা তাঁর। সেই মামলাতেই এবার ববিতাকে টাকা জমা রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী সোমবার, ৯ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

ববিতা ও অনামিকা, উভয়ের বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিদ্যা, অনামিকা রায়ের র‍্যাঙ্ক ছিল ২১। ২৪ জুলাই মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতার চাকরি যায় আদালতের নির্দেশে। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে আদালতের তরফে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞেস করা হলে, তাঁরা জানান, ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩, তাঁর পাওয়ার কথা ৩১। মেধা তালিকা দেখে অনামিকা মামলা দায়ের করেন ববিতা ও কমিশনের বিরুদ্ধে।

এদিন কমিশন অনামিকা রায়ের মামলার বিরোধিতা করে। কমিশনের আইনজীবী সুতানু পাত্র জানান, নতুন আবেদন করতে পারতেন অনামিকা, কিন্তু কারও জায়গায় এভাবে তাঁর চাকরির আবেদন করা যায় না। রাজ্য জানায় ভুল তথ্য দিয়েছে ববিতা, তাই তাঁর চাকরি বাতিল হোক। অনামিকা রায়ের মামলায় এখনও কিছু সংশোধন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।

হাইকোর্টের নির্দেশে, অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন ববিতা। সেই টাকা আলাদা করে অন্য অ্যাকাউন্টে জমা রাখার জন্যই ববিতা সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আলাদা করে ফিক্সড ডিপোজিট করার জন্য ববিতাকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। যদি মামলার রায় বিপক্ষে যায় তবে পুরো টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ না হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি আবেদনে ৬০ শতাংশ লিখলেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।