Calcutta High Court: মমতার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা, অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ

Calcutta High Court: শাসক দলের নেতাদেকর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে আগেই। এবার মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠল।

Calcutta High Court: মমতার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা, অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ
কলকাতা হাইকোর্ট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2022 | 5:35 PM

কলকাতা: এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি নিয়ে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে সোমবার আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে মমতার পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক হারে। ইডি, সিবিআই ও আয়কর দফতরকে দিয়ে তদন্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলায়। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলাকারী উল্লেখ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাঁর ছয় ভাই আছেন। কিন্তু, ২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর পেশ করা হলফনামায় দুটি সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। মামলাকারীর অভিযোগ, একাধিক সম্পত্তির উল্লেখ করা হয়নি সেই হলফনামায়। বিপুল টাকার সম্পত্তি, জলের দামে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ।

এ দিন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, ‘যে সব নথি প্রকাশ্যে এসেছে, তা থেকে দেখা যাচ্ছে ২০১১-র পর থেকে মমতার পরিবারের সম্পত্তি বেড়েছে ক্রমশ।’ বিশেষত ২০১৩ সালের পর অর্থাৎ চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর সম্পত্তি আরও বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদে সমাবেশেও ওই মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন মমতা। তিনি জানান, সম্পত্তির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ে মামলার কথা শুনেছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে তাঁর উৎসব-অনুষ্ঠানেই যোগাযোগ হয়, আর তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। মমতা উল্লেখ করেন, তাঁর মা যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন তাঁর দায়িত্বে ছিলেন। বাকিরা প্রত্যেকে আলাদা সংসারে চলে যায়। তাঁদের সঙ্গে শুধুমাত্র রাখী-বন্ধন, ভাইফোঁটা, কালীপুজোয় দেখা হয় বলে দাবি করেন মমতা।