Manik Bhattacharya Son: এবার স্কুল বাজেয়াপ্ত করবে ED! মানিকের ছেলের মামলায় বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার
Manik Bhattacharya Son: ইডি এদিন আরও দাবি করেছে, ওই স্কুলটি শৌভিক ভট্টাচার্যের ঠাকুরদা অর্থাৎ মানিক ভট্টার্যের বাবার নামাঙ্কিত, কিন্তু শৌভিক জানিয়েছেন, স্কুলের নাম তিনি জানেন না। তদন্তকারীদের দাবি, এটি একটি ১০০ বছরের পুরনো স্কুল।
কলকাতা: মা শতরূপার জামিনের পর এবার জামিন চাইছেন ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কয়েক মাস জেলে কাটিয়ে ফেললেও, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলেই অভিযোগ মানিক-পুত্রের। সেই মামলায় এবার একটি স্কুলের নাম প্রকাশ্যে আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শতবর্ষ প্রাচীন ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই আরও এক ব্যক্তিকে সমন পাঠানো হয়েছে এই মামলায়। বুধবার তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা আছে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জামিন চেয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শৌভিক। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে চলছে সেই মামলার শুনানি।
এদিন আদালতে ইডি দাবি করেছে, শৌভিক ভট্টাচার্যের প্যান নম্বরের সূত্র ধরে একটি ক্লাব এবং এই স্কুলের অ্যাকাউন্টের খোঁজ পায় ইডি। ইডি-র আইনজীবী বলেন, ‘আমরা স্কুল বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছি।’ তবে ইডি জানিয়েছে, স্কুল বাজেয়াপ্ত করা মানে বন্ধ করা নয়, প্রতীকীভাবে বাজেয়াপ্ত করে ইডি। শৌভিক ভট্টাচার্যকে ইডি গ্রেফতার করেনি। আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। এখন তাঁকে অযথা আটকে রেখে কী লাভ? ইডি-কে এই প্রশ্নই করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি জানতে চান, জামিন দিলেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব কি না। ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ইডি এদিন আরও দাবি করেছে, ওই স্কুলটি শৌভিক ভট্টাচার্যের ঠাকুরদা অর্থাৎ মানিক ভট্টার্যের বাবার নামাঙ্কিত, কিন্তু শৌভিক জানিয়েছেন, স্কুলের নাম তিনি জানেন না। তদন্তকারীদের দাবি, এটি একটি ১০০ বছরের পুরনো স্কুল। স্কুলের শতবর্ষ উদযাপনের সময় অনেকে অনুদান দিয়েছেন। ১ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন শৌভিক। কিন্তু ইডি-র দাবি, ১ লক্ষ টাকা নয়, আরও অনেক বেশি টাকা স্কুলে দেওয়া হয়েছে এবং সেটি একটিই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। যে চেকগুলি থেকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলির সংখ্যা পরপর বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ কথা শুনে শৌভিক দাবি করেন, ইডি-র অধীনেই শৌভিকের অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে।
এই লেনদেনের মাধ্যমে শৌভিক কীভাবে লাভবান হতেন? বিচারপতির এই প্রশ্নে ইডি জানায়, এই লেনদেনের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতেন শৌভিক ভট্টাচার্যের বাবা মানিক ভট্টাচার্য। এটা মানিকের রাজনৈতিক উত্থানে সাহায্য করেছিল বলেও অভিযোগ। ইডি-র আরও দাবি ২০১৮ সালে টাকা আসার পরেই স্কুলের নাম বদল করা হয়েছে।