গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে রহস্যে মোড়া ডায়েরি, একগুচ্ছ ‘প্রভাবশালী’র নাম

Cattle Smuggling: এই ঘটনায় বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে রহস্যে মোড়া ডায়েরি, একগুচ্ছ 'প্রভাবশালী'র নাম
জামিন পেলেন না এনামুল, ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2021 | 7:50 PM

কলকাতা: গরুপাচারকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের হাতিয়ার ডায়েরি। বিনয় মিশ্র মামলায় মঙ্গলবার আদালতে একটি ডায়েরির প্রসঙ্গ তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সেখানে বহু রহস্যে মোড়া তথ্য রয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। একাধিক প্রভাবশালীর নামও রয়েছে সেখানে, ইঙ্গিত দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এর আগে সারদা মামলায় একটি লাল ডায়েরি ঘিরে তোলপাড় হয়। এবার গরু পাচার ও বিনয় মিশ্রের মামলাতেও নতুন করে রহস্য বাড়াল উদ্ধার হওয়া ডায়েরি।

সিবিআইয়ের দাবি, এই পাচারকাণ্ডে বিনয় মিশ্রর নাম জড়িয়ে আছে ঠিকই। তবে আসলে তা এক বড়সড় ষড়যন্ত্র। যে ষড়যন্ত্রে একাধিক সরকারি কর্মী, বিএসএফ কর্তাদের একাংশও অভিযুক্ত। এই ডায়েরিতে তা আরও স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে বলেই দাবি সিবিআই আইনজীবীর। একই সঙ্গে কী ভাবে কোন পথে টাকা পাচার হতো তার নীল নকশারও ইঙ্গিত রয়েছে সেই ডায়েরিতে। সিবিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্যে সে দাবিই উঠে এসেছে।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, ডায়েরিতে মনোজ সানা নামে একজন বিএসএফ কম্যান্ডেন্টের নাম রয়েছে। যিনি গরু পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের কাছ থেকে টাকা পেতেন বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। সেই টাকা হাত ঘুরে মনোজের এক সহকর্মী সতীশ কুমারের কাছ থেকে বিনয় মিশ্রের হাতে যেত বলে ওই ডায়েরিতে উল্লেখ রয়েছে।

এমনও তথ্য উঠে আসছে, যেখানে জানা যাচ্ছে অপরাধীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিলেন বিনয়। শুধু মনোজ সানাই নন, তাঁর এক ভাই বাবুল সানার প্রসঙ্গও রয়েছে সেই তথ্যসূত্রে। সিবিআই-এর দাবি কেন্দ্রের নিরাপত্তার সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িয়ে রয়েছে সীমান্ত এলাকা। আর এই মামলায় বিএসএফ এবং সরকারি আধিকারিকদের একাংশের ভূমিকা প্রশ্নসাপেক্ষ। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তদন্ত করতে চায় সিবিআই, এদিন আদালতে তা স্পষ্ট জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

আরও পড়ুন: বিধানসভায় শূন্য হয়েও নওশাদের বক্তব্যে ভেসে উঠল বামেরা, বক্তা হিসাবে নজর কাড়লেন জুন

প্রসঙ্গত গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই এনামুল হককে গ্রেফতার করে। এরপরই তাঁকে জেরা করে উঠে আসে সতীশের নাম। চলতি বছরের মার্চ মাসেই সিবিআই দফতরে রাজ্যের দুই আইপিএসকে তলব করা হয়। এরমধ্যে একজন ছিলেন মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন ডিআইজি, অন্যজন জেলার প্রাক্তন অ্যাডিশনাল এসপি। এই ডায়েরি ঘিরে তদন্ত নতুন মাত্রা পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।