TET : ‘হেল্প মি, বাড়ি যাব’, নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েই ছুট প্রাইমারি বোর্ড সভাপতির

CBI : মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গী তাঁকে নিয়ে বিপজ্জনক ভাবে ছুটতে থাকেন। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে বলেন, "হেল্প মি। পুলিশি নিরাপত্তা দিন। বাড়ি যাব।"

TET : 'হেল্প মি, বাড়ি যাব', নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েই ছুট প্রাইমারি বোর্ড সভাপতির
টেট মামলা জিজ্ঞাসাবাদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2022 | 7:26 AM

কলকাতা : আদালতের নির্দেশ মতো সোমবার বিকেলে নিজাম প্য়ালেসে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলে প্রাইমারি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মানিক ভট্টাচার্য। হাজিরা দেন প্রাইমারি বোর্ডের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচিও। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিজাম প্যালেসে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। যদিও বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমে পুরোপুরি এড়িয়ে গেলেন তাঁরা। রাত পৌনে ন’টা নাগাদ যখন তাঁরা নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন, তখন কোনও কথা না বলে রীতিমতো দৌড়ে দৌড়ে বেরিয়ে যান মানিক ভট্টাচার্য। রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “বোর্ডে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।” মানিক বাবু আবার কিছুই বলতে চান না। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গী তাঁকে নিয়ে বিপজ্জনক ভাবে ছুটতে থাকেন। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে বলেন, “হেল্প মি। পুলিশি নিরাপত্তা দিন। বাড়ি যাব।”

ট্রাফিক সার্জেন্টকে এই কথা বলার পরও, আর অপেক্ষা করেননি তিনি। ছুটতে শুরু করেন রাস্তায়। পরে একটি গাড়িতে উঠে চলে যান নিজের গন্তব্যে। নিজাম প্যালেসে ঢোকার সময়েও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। বিকেলে ট্যাক্সি থেকে নেমে সোজা ঢুকে গিয়েছিলেন নিজাম প্যালেসের ভিতরে। হাইকোর্ট থেকে দুপুরেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। টেট দুর্নীতির মামলার তদন্তের জন্য রত্না চক্রবর্তী বাগচি ও মানিক ভট্টাচার্যকে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যেই নিজাম প্যালেসে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মতো বিকেল ৫ টা ২৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই অফিসে পৌঁছে যান তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার টেট দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২৬৯ জনের চাকরি বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। যাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা যাতে মঙ্গলবার থেকে কাজে যোগ দিতে না পারেন, সেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তাতে প্রায় ২৩ লাখ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরে ২০১৭ সালে প্যানেল প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, ২০১৭ সালের ওই প্যানেলের এক বছর আরও একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রাইমারি বোর্ডের বক্তব্য ছিল, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি ভুল ছিল, সেই কারণে উত্তরপত্রে ১ নম্বর করে বাড়ানো হয়েছে। সেই কারণেই দ্বিতীয় প্যানেল। অভিযোগ, এই ১ নম্বর পেয়েছিলেন ২৬৯ জন। সোমবার এই নিয়ে আদালত প্রশ্ন তোলে, কেন ২৩ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে এই নম্বর দেওয়া হল? নম্বর বাড়ানো কিংবা নতুন প্যানেল ঘোষণার বিষয়ে কেন কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে।