লালা চুপ, রাজ্যের গরজ কেন বেশি! ডিভিশন বেঞ্চে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সলিসিটর জেনারেলের

সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছিল, যেখানে রাজ্যের এক্তিয়ার রয়েছে, সেখানে তাদের সহযোগিতায় তদন্ত করতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তবে, ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যকে ফের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

লালা চুপ, রাজ্যের গরজ কেন বেশি! ডিভিশন বেঞ্চে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সলিসিটর জেনারেলের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Feb 09, 2021 | 7:29 PM

কলকাতা: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার আদালতে সিবিআই (CBI) প্রশ্ন তোলে, কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালা চুপ থাকলেও রাজ্য কেন তাঁর হয়ে সওয়াল করছে। উল্লেখ্য, এই মামলায় তদন্তের এক্তিয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছিল, যেখানে রাজ্যের এক্তিয়ার রয়েছে, সেখানে তাদের সহযোগিতায় তদন্ত করতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তবে, ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যকে ফের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

লালার জামিন খারিজ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যাসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, রেলের এক্তিয়ারভুক্ত নয় এমন জায়গায় রাজ্যের সহযোগিতা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে সিবিআই। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় সিবিআই। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, লালা ওরফে অনুপ মাজির মামলায় অভিযুক্ত লালা নিজে চুপ করে রয়েছে, অথচ রাজ্য তাঁর হয়ে সওয়াল করেছে কোর্টে। সিবিআই আদালতে জানায়, এই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে বৃহত্তর প্রভাব ফেলতে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে তাদের সম্পূর্ণ অধিকার আছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ও যে কোনও ঘটনার তদন্ত করার।

সিবিআই আদালতে আরও জানায়, মে ২০২০-তে রেলের লিজ়ে হোল্ড জায়গায় বেআইনি খননের বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে। এতে একাধিক রেলের আধিকারিকও জড়িয়ে আছেন বলে দাবি। একই সঙ্গে লালা-সহ আরও কয়েকজন পরিকল্পনামাফিক দেশের সম্পত্তি নষ্ট করেছে বলেও সিবিআই জানায় আদালতে। সূত্রের খবর, রাজ্যের বাইরেও ছড়িয়ে আছে গোটা পাচারচক্রের জাল।

সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় নিয়ে সলিসিটর জেনারেলের দাবি, সিআরপিসি আইন অনুযায়ী রাজ্যের আধিকারিকদের নিয়ে যৌথ তল্লাশি হতে পারে না। সিঙ্গল বেঞ্চ একদিকে সিবিআই-এর এক্তিয়ার বেঁধে দিচ্ছে, আবার অন্যদিকে রাজ্যের সঙ্গে যৌথ তল্লাশির কথা বলছে, অভিযোগ কেন্দ্রীয় আইনজীবীর। অন্যদিকে পালটা জবাবে রাজ্যের পক্ষে এ দিন এজি কিশোর দত্ত বলেন, কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া সিবিআই রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় তদন্ত করতে পারে না। ইসিএল এলাকাতেও সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না।

আরও পড়ুন: মাকে বিপদে রেখে যারা বিট্রে করে পালিয়ে যায়, তারা কুসন্তান: ‘অভিমানী’ মমতা

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অপরাধীরা রেলকে শুধু যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাই রেলের এলাকায় অপরাধ সংগঠিত হয়েছে এটা বলা যাবে না। আরপিএফ আইন অনুযায়ী রেলের এলাকায় কিছু হলে আরপিএফ তদন্ত করে রাজ্যকে দেবে।

যদিও ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, রেলের এলাকায় যেহেতু রাজ্য তদন্ত করতে পারে না, তাই একটি পৃথক তদন্তকারী সংস্থার দরকার। মামলার শুনানি বুধবার ধার্য হয়েছে। এ দিন লালা আলাদা একটি মামলা দায়ের করে সিবিআই-এর বিরোধিতা করে। সেই মামলায় তাঁর হয়ে সওয়াল করবেন সিদ্ধার্থ দাভে, দুষ্মন্ত দুবের মতো বর্ষীয়ান আইনজীবীরা।

আরও পড়ুন: তৃণমূল বাদে অন্যকে ভোট মানেই বিজেপির দিকে, বহরমপুরে মমতার সাফ বার্তা