Central Team Report: খোলা আকাশের নীচে মিড ডে মিল, নেই পর্যাপ্ত কম্পিউটার জ্ঞান! রাজ্যের শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে উল্লেখ হয়েছ, কম্পিউটার সেট থাকলেও অনেক স্কুলে তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ঢিলেমির বিষয়টিও উঠে এসেছে রিপোর্টে। স্মার্ট ক্লাসরুম না বানানোর বিষয়ও রিপোর্টে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি স্কুলে মিড ডে মিল তৈরির বিষয়ে কিছু গাফিলতির কথাও উল্লেখিত হয়েছে রিপোর্টে।
কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট পাঠাল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ১৮ জনের একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছিল রাজ্যে। তাঁরা এসে পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলার বেশ কিছু স্কুল, কলেজ ঘুরে দেখেন। সেখানে পড়াশোনার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ছাত্র এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কেন্দ্রীয় সাহায্য প্রাপ্ত সরকারি কলেজের প্রসেফরদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা। এ সবের ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোর উদ্বেগজনক ছবি।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে উল্লেখ হয়েছ, কম্পিউটার সেট থাকলেও অনেক স্কুলে তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ঢিলেমির বিষয়টিও উঠে এসেছে রিপোর্টে। স্মার্ট ক্লাসরুম না বানানোর বিষয়ও রিপোর্টে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি স্কুলে মিড ডে মিল তৈরির বিষয়ে কিছু গাফিলতির কথাও উল্লেখিত হয়েছে রিপোর্টে। খোলা আকাশের নীচে মিড ডে মিল তৈরির অভিযোগ রয়েছে রিপোর্টে। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের মনে হয়েছে, শিক্ষক-প্রফেসররা সম্পূর্ণ চেষ্টা করলেও বাংলার শিক্ষায় বাধা হচ্ছে পরিকাঠামো।
— Bratya Basu (@basu_bratya) January 10, 2024
এই রিপোর্টের বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে এসেছিল প্রতিনিধি দল। কিন্তু সেখানে গিয়ে এই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। এটা উদ্বেগের। তবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে গৈরিকীকরণের অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই রিপোর্টের বিষয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেন তিনি। সেখানে লিখেছেন, “পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণের উপর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। আমাদের মনে হয়েছে, সেই পর্যবেক্ষণের অধিকাংশই গেরুয়া প্রভাবিত। তাঁরা খালিয়ে পায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বলেছে। কিন্তু জানে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জামা ও জুতো দেয়। খোলা আকাশের নীচে মিড ডে মিল রান্নার কথা বলেছে। কিন্তু মিড ডে মিলের শেড তৈরির জন্য ফান্ড আটকে রেখেছে। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সীমিত ক্ষমতা দিয়েই স্কুলে রান্নার জন্য শেড তৈরি করবে।”