Chandrima Bhattacharya on NCC: ‘NCC-কে ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছি’, ৩ কোটি বকেয়ার দাবির মুখে সাফাই চন্দ্রিমার
Chandrima Bhattacharya on NCC: বিরোধী দলনেতার আশঙ্কা, এনসিসি-র ফান্ড বন্ধ হওয়ার পর প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন।
কলকাতা : রাজ্য সরকার অনুদান বন্ধ করে দেওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে এনসিসি-র প্রোগ্রাম। বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিবিরের কাজ। সার্টিফিকেট দেওয়া যাচ্ছে না। এমন অভিযোগ সামনে আসার পর মুখ খুললেন রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করলেন, অক্টোবরেই মাসেই ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন চন্দ্রিমা।
টাকা না পাওয়ার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (NCC)-এর দায়িত্বে থাকা কম্যান্ডিং অফিসার চিঠি দিয়েছেন এনসিসি-র ডিজিকে। বুধবার এই অভিযোগ সামনে আসার পর মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন, ‘অভিযোগের সারবত্ত্বা নেই। গত ২১ অক্টোবরেই ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ফান্ডও দেওয়া হবে। যাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে, তাদেরও একটা হিসেব দিতে হয়। হিসেব দিলে সেই মতো টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।’ চন্দ্রিমার কথায়, রাজ্য টাকা বন্ধ করেনি, কেন্দ্র কোন কোন ক্ষেত্রে টাকা দিচ্ছে না, সেটাতে নজর দেওয়া জরুরি।
অন্যদিকে, এনসিসি-র দাবি, পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম মিলিয়ে মোট ২৩৫টি শিবির বা ক্যাম্প করা হয়। দুটি রাজ্য মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ পড়ুয়া প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন সেখানে। একযোগে বায়ুসেনা, স্থলসেনা ও নৌবাহিনীর ট্রেনিং দেওয়া হয়। ওই শিবির করলে তবেই এনসিসি-র বি ও সি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ক্যাম্প করাটা বাধ্যতামূলক। শিবির না হওয়ায় সার্টিফিকেট দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে এনসিসি-র তরফে। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের দাবি, একটু টাকার জন্য এতদিনের পরিশ্রমটাই বিফলে যাবে। আপাতত ৩ কোটি টাকা দরকার, আর আগের বাকি থাকা টাকা ধরলে অঙ্কটা হবে ১০ কোটি।
এই সার্টিফিকেট না পেলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের জটিলতা তৈরি হবে বলে জানানো হয়েছে এনসিসি-র তরফে। পড়ুয়াদের এই প্রশিক্ষণে এ, বি এবং সি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়ে থাকে। সেনাবাহিনীর ভাষায় যাকে বলে, আলফা, বিটা এবং চার্লি।
এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে ‘দেউলিয়া’ বলে কটাক্ষ করেন। শুধু এনসিসি ফান্ড নয়, আরও অনেক কিছুর ফান্ড বন্ধ আছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি জানান, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ৬ মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না। আর কিছুদিন পরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে পারবে না বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।