UPDATE Mamata Banerjee: আধার কার্ডের বিকল্প কার্ড করে দেব, নবান্ন থেকে কড়া বার্তা মমতার
Mamata Banerjee: মমতা বলেন, "আধার কার্ড নিয়ে তফসিলি ফেডারেশন আমার কাছে চিঠি দিয়েছে। বিভিন্ন তফসিলি জাতি, নমঃশূদ্র মানুষের, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। আমাদের জানায়নি পর্যন্ত। যাঁর কাটা হয়েছে অন্তত তাঁকে তো জানাবে। তাও জানায়নি।"
কলকাতা: আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বীরভূম থেকে সরব হওয়ার পর সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। মমতা বলেন, “আধার কার্ড নিয়ে তফসিলি ফেডারেশন আমার কাছে চিঠি দিয়েছে। বিভিন্ন তফসিলি জাতি, নমঃশূদ্র মানুষের, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। আমাদের জানায়নি পর্যন্ত। যাঁর কাটা হয়েছে অন্তত তাঁকে তো জানাবে। তাও জানায়নি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন…
- রাজ্যে নানা কমিশন আসছে। মমতার জবাব, প্রশাসন প্রশাসনের মতো কাজ করছে। ওদের স্বাধীনতা দিন। ওরা ওদের মতো কাজ করছে ওরা করবে। আইন আইনের পথে চলবে। আমিও আগে বলেছি, পুলিশ কমিশনারও বলে দিয়েছে। আমরা সরকার থেকে ক্যাম্পও করে দিয়েছি। জমির সমস্যা থাকলে জানান। আমরা সমাধান করে দেব।
- আমরা ডেকে পাঠিয়েছিলাম বাংলায় যিনি দায়িত্বে আছেন আধারের। তিনি বলেছেন, এটা দিল্লি থেকে করা হচ্ছে। দিল্লির চক্রান্ত ছাড়া আর কী? লোক তাড়াবে, ভোট দখল করবে, ক্যাগকে দিয়ে রিপোর্ট করাবে। আর কী করবে এরা?
- ভয় পাওয়ার কারণ নেই কারও। আপনাদের অধিকার আমরা সুরক্ষিত রাখব। আধার কার্ড না-ই বা থাকল, অন্য কার্ড দিয়ে দেব। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড আছে। আধার কার্ড দিয়ে সব করতে হলে আমরা এরও বিকল্প কার্ড করে দেব। রাজ্য সরকারের অধিকারে পড়ে রাজ্যের মানুষকে সুবিধা দেওয়া। আঙুলটা সোজা না দেখতে পায়, আঙুলটা একটু বেঁকিয়ে চালাতে হবে। আমরা মানুষের স্বার্থে রেডি।
- কোথায় কোনও অন্যায় হয় তৃণমূল সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিই। ট্রান্সপারেন্ট পার্টি তৃণমূল। এমনকী আমাদের লোকের অন্যায় হলেও রেয়াত করি না।
- বিজেপির একমাত্র কাজ হল মানুষকে বিরক্ত করা। অপদার্থ রাজনৈতিক দল একটা। মানুষের বিপদে পাশে নেই। এর মদতদাতা হচ্ছে সিপিএম এবং এখানকার কংগ্রেস।
- বাংলাকে ভয় পায়, তাই এসব করছে। আমি নির্বাচন কমিশনেও একটা টিম পাঠাচ্ছি। তারা জানুক এটা। এভাবে চলতে পারে না। প্রয়োজনে আইনের সাহায্য নেব। ভোটের আগে এটা কেমন লুকোচুরি খেলা?
- এটা ফ্যাসিবাদী চক্রান্ত। রাজ্যকে জানাবে না মানে? রাজ্যই তো নিরাপত্তা দেবে। বিজেপি পার্টি অফিস মিথ্যা কথা ছাড়া আর কী করবে? সবাই বলে ভারতীয় জঞ্জাল পার্টি। আমার কাছে অভিযোগ আসছে।
- কোনও এনআরসি এখানে হবে না। কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। এটা কবিগুরু, নজরুল, জীবনানন্দের বাংলা। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, বিকল্প কার্ড দেব। কার্ড তৈরি করছি। ৩-৪ দিনের মধ্যে পৌঁছে দেব।
- আমার কাছে যত অভিযোগ এসেছে তার ভিত্তিতে আমি নিজেও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব বলে ঠিক করেছি।
- আধার কার্ড নিয়ে যারা ছেলেখেলা করছেন, মানুষকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন, আঁধার জগতে মানুষ তাদের ফেলবে। গরিবদের বলব কোনও অসহায়তা নেই, আমাদের জানান। বিকল্প কার্ড দেব আমরা। রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কাস্ট সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্যসাথী, সব পাবেন।
- আমরা এসব এখানে করতে দেব না। প্রতি পদে আমরা রাজনৈতিক যুদ্ধ করছি। মানুষকে বঞ্চিত হতে না দেওয়ার জন্য যা যা করার আমরা করব। গায়ের জোরে ইলেকশন ঘোষণার ১০-১৫ দিন আগে এটা কীসের রাজনীতি?
- আগে জবাব দিন কেন আধার কার্ডগুলো কেটেছেন। এরপর বলবে আগে কাটলাম, পাঁচ বছর পর নাগরিকত্ব দেব। এবার মতুয়া বন্ধু, তফসিলি বন্ধু, সকলে বুঝতে পারছেন তো ওদের গেমপ্ল্যানটা? আপনাকে না জিজ্ঞাসা করে ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে।
- আমরা আধার গ্রিভান্সেস পোর্টাল রাজ্য সরকারের তরফে মঙ্গলবার থেকে চালু করছি। যাদের আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট হয়েছে আমাদের দ্রুত জানান। তারা কোনও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না। সামাজিক, গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক অধিকার সবটা পাবেন। এটা দিল্লি নয়, পশ্চিমবঙ্গ।
- যাদের নাম কাটা হচ্ছে তাদের আমরা আলাদা কার্ড দেব। যাতে কোনও সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হয়ত টাকা যাবে না। তবে ক্যাম্প করে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে দিয়ে দেব। সুবিধা তাদের দেবই। কোনও গরিব মানুষকে না খেয়ে মরতে দেব না।
- মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এটাকে বন্ধ করতে হবে। নাহলে আমরা ওয়েব পোর্টাল চালু করছি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবে কাদের নাম কাটা হয়েছে।
- ৩৫৫টা কমিটি পাঠিয়েছে বাংলায়। রোজই কাউকে না কাউকে পাঠায়। আর চোপড়ায় শিশু মারা গেলে টিকিটাও দেখা যায় না।
- আমি তফসিলি, সংখ্যালঘু, জেনারেল কাস্ট সকলকে নিশ্চিত করতে পারি, বাংলায় এনআরসি আমরা করতে দেব না। আমরা জীবন দিয়ে লড়াই দিয়ে রুখব।
- আমি সত্যি দুঃখিত। ভোটের আগে এমন কী ঘটল যে ইচ্ছামতো কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিচ্ছে। পরিকল্পনা কী? ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা? আমার কাছে সবথেকে বেশি চিঠি তফসিলি ফেডারেশন দিয়েছে। রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসন কিছুই জানে না। জমিদারের মতো আচরণ করে এসব করছে। তাহলে কার্ড করার দরকার কী ছিল? সব তথ্য তো নিয়েছিলেন। বডি স্ক্যানও তো করেছিলেন। কার দেহে কী অসুখ জেনেও তো করেছিলেন। আধারকে ব্যাঙ্কে লিঙ্ক করেছিলেন। আধার কার্ডের নামে অত্যাচার হয়েছে। ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আধার কার্ড ছাড়া কোনও সুবিধা পাবে না। গরিব মানুষরা পাবেন না?
- ভোটের আগে এনআরসি করা নিশ্চয়ই বিজেপির পরিকল্পনা নয়? আগে মানুষের আধার কার্ড কেড়ে নিলাম, তারপর ক্যা দেব। টাকা দিয়ে তো আধার কার্ডটা করেছেন।