VC Recruitment Process: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে বড় বদল, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিও

VC Recruitment Process: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে এই নতুন অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

VC Recruitment Process: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে বড় বদল, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিও
সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2023 | 8:56 PM

কলকাতা : উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা রয়েছে এ রাজ্যে। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীনই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার সেই উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে এল বড়সড় বদল। এবার থেকে সেই কমিটিতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি। এতদিন পর্যন্ত তিনজনের সার্চ কমিটি থাকত। এবার সেই কমিটিতে সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ৫। সোমবার রাজ্য়েৎ উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কমিটি থেকে বাদ পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি। পাঁচজনের কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র একজন প্রতিনিধি, রাজ্যপাল তথা আচার্যের প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ও মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে এই নতুন অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ইউজিসি-র চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়েছে সার্চ কমিটিতে। ফলে সদস্য সংখ্যা ৩ থেকে বেড়ে হয় ৪। আর কোনও নির্বাচন কমিটিতেই জোড় সংখ্যক সদস্য সংখ্যা থাকা বাঞ্ছনীয় নয় বলে দাবি করেছেন ব্রাত্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, মতানৈক্যের ক্ষেত্রে ভোটাভুটি হলে তার ফলাফল ২-২ হলে অচলাবস্থার তৈরি হয়, তাই প্রতিনিধি থাকা উচিত বিজোড় সংখ্যার।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধির জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে যেহেতু একজন প্রতিনিধি থাকছেন, তাই রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেছে শিক্ষা দফতর।

তাঁর মতে, সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বেশি প্রতিনিধি থাকতেই পারেন। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনা সাপেক্ষে এই অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর দাবি, এটা সম্পূর্ণভাবে শিক্ষা দফতরের বিষয়।