Jagdeep Dhankhar: এখনও কেন তথ্য এলো না? আড়িপাতাকাণ্ডে মমতাকে চিঠি রাজ্যপালের
Mamata Banerjee: সম্প্রতি ফোনে আড়িপাতাকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। আড়িপাতাকাণ্ডে রাজ্য যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল, তার উপর স্থগিতাদেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
কলকাতা: ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে ফের রাজ্য-রাজভবন তরজা। এবার সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার নিজেই টুইটারে বিষয়টি জানান তিনি। ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েই এই চিঠি।
টুইটারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লেখেন, গত ২৬ জুলাই (২৬.৭.২০২১) ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে তদন্ত কমিশন গঠন করেন। অথচ এ বিষয়ে তাঁকে কোনও কিছুই জানানো হয়নি। তদন্ত কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামতও নেওয়া হয়নি। রাজ্যপাল টুইটে দাবি করেন, সংবিধানের ১৬৭ ধারা অনুযায়ী এ বিষয়ে রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানানো রাজ্যের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
একই সঙ্গে জগদীপ ধনখড় তাঁর লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলে তিনি তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত ৬ ডিসেম্বর এই কমিশন গঠন নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি ও এ সংক্রান্ত নথিপত্র চাওয়া হয় রাজভবনের তরফে। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে কোনও জবাব সরকারের তরফে আসেনি।
No communication #Pegasus Inquiry Commission @MamataOfficial was ever sent to Governor prior to Notification dated 26.07.2021. There could obviously be no formation of any opinion by Governor and there has been none as a matter of fact.
Action ex facie not in accord with law.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 20, 2021
Constrained to invoke Article 167 of the Constitution to seek @MamataOfficial all record and proceedings leading to Inquiry Commission #Pegasus Notification dated 26.07.2021 as the Chief Secretary Hari Krishna Dwivedi @IASassociation failed to provide such information. pic.twitter.com/Vp3BCyDv2Q
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 20, 2021
সম্প্রতি ফোনে আড়িপাতাকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। আড়িপাতাকাণ্ডে রাজ্য যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল, তার উপর স্থগিতাদেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ইতিমধ্যেই আড়িপাতাকাণ্ডে তদন্তের জন্য বিশেষ দল বা সিট গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তিন সদস্যর এই প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। তারা তদন্ত করছে। সেখানে আবার সমান্তরালভাবে রাজ্যের তদন্তের কোনও প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার বেঞ্চ। গত ১৭ ডিসেম্বর বিষয়টি স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন লোকুরের নেতৃত্বে দুই সদস্যর তদন্ত কমিশন গঠন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ফোনে আড়িপাতা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের হয়। অগস্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি শীর্ষ আদালতে জানান, বিষয়টি আইনি ফয়সলা হওয়ার আগে লকুর কমিশন আর এগোবে না।
অক্টোবরে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়। যদিও লোকুর কমিশনের সামনে ইতিমধ্যেই অনেকে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। একাধিক ব্যক্তিত্বকে হাজিরা দিতে কমিশন নোটিসও পাঠিয়েছে বলে খবর। সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়ায় আরও একটি সমান্তরাল তদন্ত কমিশনের কাজে স্থগিতাদেশ চেয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় লোকুর কমিশনের সমস্ত কাজে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: ‘থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ…’, ভোটের পরদিনই নগরপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা