‘বাবুল, দেবশ্রী আজ খারাপ’! বার্লাকে ঠাঁই দেওয়ায় মমতার তোপ, ‘বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ’

Mamata Banerjee On Cabinet Expansion: আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা, যিনি পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছিলেন, তাঁকেও মন্ত্রী করা হয়েছে।

'বাবুল, দেবশ্রী আজ খারাপ'! বার্লাকে ঠাঁই দেওয়ায় মমতার তোপ, 'বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ'
অলংকরণ-অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2021 | 7:07 PM

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভা থেকে বাদ গিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। তার বদলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নতুন ৪ টি মুখ পেতে চলেছে বাংলা। উত্তরবঙ্গ থেকে দুই এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে দুই সাংসদকে জায়গা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ক্যাবিনেটে। উল্লেখযোগ্যভাবে, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা, যিনি পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছিলেন, তাঁকেও মন্ত্রী করা হয়েছে। যা নিয়ে কটাক্ষের পথে হেঁটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ’।

জন বার্লাকে মন্ত্রী করার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেন, “ওরা কাকে মন্ত্রী করবে, কাকে বাদ দেবে বা কাকে বাদ দেবে না, এটা ওদের ভেতরকার বিষয়। এটা নিয়ে আমরা কোনও কথা বলতে চাই না। তবে বিজেপি নিজেই একটা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি। আজকে নয়, চিরকাল। আজকে বাবুল সুপ্রিয় খারাপ হয়ে গিয়েছে। রাজবংশী (দেবশ্রী চৌধুরী) মন্ত্রী ছিল ওদের, সেও আজকে খারাপ হয়ে গিয়েছে। যখন মানুষের সময় খারাপ হয়, আর বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়, তখন মানুষ এসব শক্তিকেই খুঁজে বেড়ায়।” মমতা আরও বলেন, “এসব শক্তি কখনই পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়। এরা কখনও কোনও কাজ করতেও পারে না। সুতরাং এগুলো দিয়ে দল হিসেবে বিজেপি সন্তুষ্ট হতে পারে, কিন্তু কোনও লাভ হবে না।”

বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা এই মন্তব্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও খুঁজছেন রাজনীতির কারবারিরা। একই সঙ্গে ফের একবার ওয়াকিবহাল মহলের আলোচনায় উঠে এসেছে সেই ঝালমুড়ি প্রসঙ্গ। ভিক্টোরিয়ার সামনে ঝালমুড়ি খাওয়া হোক, বা কখনও বিমানবন্দরে চা-কুকিজ খাওয়া; বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সৌজন্যে কখনও খামতি হয়নি। এই অবস্থায় ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের প্রশ্ন, বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য কি তবে কিছুটা অভিমান উস্কে দেওয়ার জন্য?

আরও পড়ুন: ‘ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল’, লিখেও মন্তব্য প্রত্যাহার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের! কেন?

কারণ, মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বাবুল যে খুব একটা খুশি নন সেটা নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমেই সাফ করে দিয়েছেন তিনি। প্রথমে তিনি লেখেন, “আমাকে বলা হয়েছে পদত্যাগ করতে, তাই আমি করেছি। নিজের জন্য খারাপ লাগছে…”। যদিও এরপর সেই ফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলে দ্বিতীয় একটি পোস্টে বাবুল লেখেন, “ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল’ কথাটা হয়তো এভাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।” কিন্তু, কেন আগের পোস্ট মুছে নতুন করে আবার এই ব্যাখ্যা দিলেন তিনি? এর কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।