কয়লার টাকা যেত জঙ্গি সংগঠনের হাতে? জোরাল হচ্ছে সেই দাবি
লালা (Lala) ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালকে (Amit Agarwal) তলব করা হয়েছে সিবিআই (CBI) দফতরে। আগেই তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি যোগের অভিযোগ ছিল।
কলকাতা: কয়লা-কাণ্ডে (Coal Scam) ক্রমশ সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। অভিযুক্তদের জেরায় উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে এবার সন্দেহ জোরাল হচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। কয়লা-কাণ্ডে এ বার জঙ্গি যোগের তত্ত্ব সামনে আলছে সিবিআই (CBI)।
সোমবারই এই অবৈধ কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অমিত আগরওয়াল নামে লালা ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে তলব করেছে সিবিআই। তিনি লালার কাছ থেকে কয়লা কিনতেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁর টাকা মাওবাদী বা জঙ্গি তহবিলে যেত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ২০১৮ সালেই এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে এনআইএ-র সন্দেহের তালিকায় ছিলেন অমিত আগরওয়াল। ওই সময় তাঁর বাড়িতে ও অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী তহবিলে কিছু টাকা গিয়েছে, যা এই অমিত আগরওয়ালের বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। এবার সেই ব্যবসায়ীকেই তলব কয়লা-কাণ্ডে। তাই কয়লার টাকা জঙ্গি সংগঠনের হাতে যেত, এমন দাবি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এ দিকে, উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রতি আরএসএসের এক শিক্ষা সংঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, কয়লার টাকা জঙ্গিদের হাতে যেত। বাংলার ক্যামেরার সামনেই করা হয়েছে এমন দাবি। এ বার অমিত আগরওয়ালকে তলব করায় সেই দাবি জোরালো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা স্টিল প্লান্টের মালিক অমিত আগরওয়াল অবৈধ কয়লার বেশিরভাগই এই ব্যবসায়ী কিনে তাঁর স্টিল প্লান্টে ব্যবহার করতেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি লালার কয়লার অবৈধ কাজকর্ম চালানোর জন্য সমাজবিরোধীদের আশ্রয়ও দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে পাঁচটি কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এগুলিতেই কয়লার যাবতীয় হিসেব লুকিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।
আরও পড়ুন: আশ্রয় দিতেন কয়লা কারবারিদের, তলব করা হল লালা ঘনিষ্ঠ অমিত আগরওয়ালকে
এ ছাড়া আজই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে অন্ডাল থাকার প্রাক্তন আইসি পার্থ ঘোষকেও। এই অন্ডাল থানা এলাকার মধ্যেই পড়ে নিউ কাজোরা এলাকা। আর সেখানেই রয়েছে ইসিএলের লিজপ্রাপ্ত বেশিরভাগ কয়লাখনি। যেখান থেকে সব থেকে বেশি পরিমাণ কয়লা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।