Suvendu Adhikari: কলকাতা পুলিশের মানহানির মামলায় শুভেন্দুকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ
Suvendu Adhikari: বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সেই মানহানির মামলার শুনানি ছিল। মামলায় এবার শুভেন্দুকে সশরীরে বিচার ভবনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হল। আগামী ২০ মে বিচার ভবনে মুখ্য বিচারকের এজলাসে তাঁকে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

কলকাতা: পুলিশি নিরাপত্তায় একটি বাসকে পটুয়াপাড়া থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেন? এতে টাকা কিংবা কয়লা দুর্নীতির তথ্য থাকতে পারে। কয়েকদিন আগে একটি ছবি দিয়ে টুইট করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা তুলেছেন, তা মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছে না পুলিশ। শুভেন্দুর টুইটে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ও পুলিশ কমিশনারের মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সেই মানহানির মামলার শুনানি ছিল। মামলায় এবার শুভেন্দুকে সশরীরে বিচার ভবনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হল। আগামী ২০ মে বিচার ভবনে মুখ্য বিচারকের এজলাসে তাঁকে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে শুভেন্দুকে নোটিসও ইস্যু করতে চলেছে আদালত।
উল্লেখ্য, শুভেন্দুর যে টুইটটি নিয়ে এত বিতর্ক, সেটি গতমাসের ১৭ তারিখের। ওই দিন টুইটে একটি বাসের নম্বর উল্লেখ করে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, ওই বাসটিকে কালীঘাটে ঢুকতে ও বেরোতে দেখা গিয়েছিল। কেন কলকাতা পুলিশের তরফে ওই বাসটিকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছিল, তা নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন শুভেন্দু। ওই টুইটের প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশ ও পুলিশ কমিশনারের মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে গত ২৮ এপ্রিল মামলা করা হয়। ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় ওই মামলাটি গ্রহণও করেছে আদালত। এবার সেই মামলায় বিচার ভবনে মুখ্য বিচারক উত্তম সাউয়ের এজলাসে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হল শুভেন্দুকে।
প্রসঙ্গত, এই মানহানির মামলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এদিন বিকেলে কোলাঘাটের সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি বুঝে নেব। এ তো (মানহানির মামলা) অনেকগুলো হয়ে গেল। গোটা পঞ্চাশ তো হবেই। ভাইপোর বাবাও করেছেন। এডিজি-সিআইডিও করেছেন। আমি বুঝে নেব। আমি বিরোধী দলনেতা। আমি কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নজরে এনেছিলাম বিষয়টি। কেন কালীঘাটের পটুয়াপাড়ার রাস্তা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ১২ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ করে রাখা ছিল? আমি কি এটা জানতে চাইতে পারি না? আমি বুঝে নেব। ওনারা এগুলো করছেন পিসি-ভাইপোকে সন্তুষ্ট করতে। ওনার চেয়ার টলমল করছিল মাঝে। বিনীতবাবু তাঁর চেয়ার পাকাপোক্ত করার জন্য এগুলো করছেন।’





