AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আগের থেকে বেড কমেছে ৫০০০, করোনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখল রাজ্য?

দ্বিতীয় ঢেউয়ে এসে দেখা যাচ্ছে আগের থেকে কার্যত আরও দুর্বল হয়েছে পরিকাঠামো! কেন?

আগের থেকে বেড কমেছে ৫০০০, করোনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখল রাজ্য?
ফাইল চিত্র
| Updated on: Apr 16, 2021 | 5:30 PM
Share

কলকাতা: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। মহারাষ্ট্রে বেড অক্সিজেন নেই, কোথাও শ্মশ্মানের চিন্তাই নিভছে না। রাজ্যের পরিস্থিতিও শোচনীয়। একাধিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শয্য সঙ্কট রয়েছে। বাড়তি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। গত বছর যখন রাজ্য করোনা বিধ্বস্ত হয়, তখনই বিজ্ঞানীরা বলছিলেন দ্বিতীয় ঢেউ বেশি দূরে নেই। সেই মতো পরিকাঠামো সাজিয়ে নেওয়ার সময়ও পেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে এসে দেখা যাচ্ছে আগের থেকে কার্যত আরও দুর্বল হয়েছে পরিকাঠামো! কেন?

গত বছর যখন দৈনিক করোনা আক্রান্ত চার হাজারের ঘরে ছিল তখন রাজ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা ছিল ৯৩। সরকারি হাসপাতাল ছিল ৩৮ আর বেসরকারি হাসপাতাল ছিল ৫৫। আর এখন দৈনিক আক্রান্ত সাত হাজার ছুঁইছুঁই। তখন রাজ্যে স্রেফ ৫৬টি কোভিড হাসপাতাল! সরকারি ৪৫টি ও বেসরকারি ১১টি। দৈনিক চার হাজার আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য তখন বেড ছিল ১২,৭৫১। আর সাত হাজার দৈনিক আক্রান্তের জন্য বেড সংখ্যা মাত্র ৭,৪২৮। এখন সেফ হোমের সংখ্যা ২০০। কিন্তু সেখানে রোগী রয়েছেন মাত্র ২৫! প্রায় নব্ব‌ই শতাংশ রোগী হোম আইসোলেশনে। এরপর এই রোগীদের মধ্যে কার‌ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত বেড পাওয়া কি সম্ভব? এই প্রশ্নই তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক নজরে গত বছরের সঙ্গে এ বারের তুলনা…

গত বছর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল ২২ অক্টোবর। দৈনিক আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪,১৫৭ জন, মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। তখন দৈনিক নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৪৪,২৫২ জনের। মোট কোভিড হাসপাতাল ছিল ৯৩টি। যার মধ্য়ে সরকারি হাসাপাতালের সংখ্যা ৩৮ ও বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্য়া ৫৫। মোট কোভিড বেড ছিল ১২,৭৫১। আইসিইউ বেড ছিল ১,২৪৩। ভেন্টিলেটরযুক্ত বেড ছিল ৭৯০। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ছিল ৫৮২। সেফ হোম ছিল ২০০টি।

আর ১৫ এপ্রিল যখন দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬৯, মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের, তখন দৈনিক নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ১২১ জনের। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় ২ হাজার ১৩১ কম। কোভিড হাসপাতাল রয়েছে ৫৬টি, গতবারের তুলনায় ৩৭টি কম। কোভিড বেড রয়েছে ৭ হাজার ৪২৮টি অর্থাৎ গত বারের তুলনায় ৫ হাজার ৩২৩ কম। একটিও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নেই। সেফ হোমের সংখ্যা সেই ২০০। স্বাস্থ্য দফতরের এই তথ্য থেকেই প্রশ্ন উঠছে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখল রাজ্য?

আরও পড়ুন: লকডাউন নয়, দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে প্রেসক্রিপশনে কী দাওয়াই ‘দ্য ল্যানসেট’-এর?