‘করোনা কিন্তু চলে যায়নি’, উৎসবের মরসুমে কী ভাবে সংক্রমণ এড়াবেন পরামর্শ চিকিৎসকদের
COVID 19: কোভিড-কালে উত্সব মানেই বিপদ। উত্সব মানে ভিড় আর ভিড় মানেই কোভিডের বাড়বাড়ন্ত।
কোভিড-কালে উত্সব মানেই বিপদ। উত্সব মানে ভিড় আর ভিড় মানেই কোভিডের বাড়বাড়ন্ত। গত বছর ওনাম থেকে ভয়াবহ সংক্রমণ শুরু হয়েছিল কেরলে। এ বারও প্রায় একই পরিস্থিতি। একদিনে ৩০ হাজারের বেশি সংক্রমণ। দুশ্চিন্তা মহারাষ্ট্র নিয়েও। যদিও প্রশাসন এবার বেশ কড়া। এ বারের মতো ইতি টানা হয়েছে দহি হান্ডি উত্সবে। গণেশ চতুর্থী নিয়েও থাকছে কড়াকড়ি। যদিও সরকারি নির্দেশিকা এবং বাস্তবের পরিস্থিতির মধ্যে বারবার ফারাক লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর সেখানেই উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবারও সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণের কথায়, “আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা একাধিক উৎসব উদযাপনের মধ্যে দিয়ে যাব। কোভিডের কথা মাথায় রেখে উৎসব উদযাপন করাই ভাল।”
বাংলাতেও সামনে পর পর উত্সব। গণেশ পুজো থেকে বিশ্বকর্মা পুজো। আর মাস দেড়েকের মধ্যেই দুর্গাপুজো। ক’দিন আগে রাখিবন্ধনের দিনই কোভিড-বিধি ভাঙার চিত্র ছিল গোটা রাজ্যে। রাখির নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে রাস্তার ভিড়— কোথাওই কোভিড বিধি মানা হয়নি। এই প্রবণতা চলতে থাকলে বড় বিপদ ফের মাথা চাড়া দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক বলেন, “গতবার আমরা উৎসবের মরসুমে অনেকটাই সংযত ছিলাম। এবারও সে পথেই হাঁটা দরকার। এখন যেটা শুনছি ওনাম বা এরকম নানা উৎসবে বিভিন্ন জায়গায় পিক শুরু হচ্ছে। ভুললে চলবে না কোভিড এখনও চলে যায়নি। যেহেতু যায়নি তাই আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে।”
অন্যদিকে চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের পরামর্শ, “উৎসবটা মনে থাকুক। উৎসবটা বাইরে সংযত নয়, বন্ধই থাকুক। যত টুকু না করলেই নয় তত টুকুই করা ভাল। গত বছর ঠিক যেমন হয়েছিল, ওর চেয়ে বেশি যেন না হয়।” চিকিৎসক কুণাল সরকারের কথায়, “আমাদের একটু একটু করে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠছে। টিকাকরণ হচ্ছে। তবে প্রতিরোধ শক্তির একটা অসুবিধা হল আমরা কয়েক মাস আগেও মনে মনে একটা অঙ্ক কষতাম ৬০-৭০ শতাংশ যদি আমরা প্রোটেক্টেড পপুলেশনে আসি তা হলে হয়তো হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছে যাব। কিন্তু ডেল্টা তা গোলমাল করে দিয়েছে। এর সংক্রমণ এত বেশি যথা সম্ভব টিকাকরণ দরকার। তা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও উপায়ই নেই।”
ভিড় তো শুধু পুজো মণ্ডপেই নয়, পুজোর বাজার থেকেই ভিড় শুরু হয়ে যায়। প্রয়োজন জনগণের সচেতনতা, সরকারি কড়াকড়ি। না-হলে কেরল-ত্রাস বাংলাতেও চলে আসতে সময় লাগবে না। আরও পড়ুন: বিকল্প আয়ের খোঁজে ব্র্যান্ডিং হবে কলকাতা মেট্রো রেলের সাত স্টেশনের!