রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত টিকা, তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই স্বাস্থ্য দফতরের লক্ষ্য দিনে ৭ লক্ষ…

সারা রাজ্যে মোট ১২ হাজার টিকাকেন্দ্র রয়েছে। সক্রিয় নয় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি টিকাকেন্দ্র। অর্থাৎ মোট টিকাকেন্দ্রের অর্ধেক সক্রিয় হলেও পঞ্চায়েত স্তরে টিকাকরণ সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত টিকা, তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই স্বাস্থ্য দফতরের লক্ষ্য দিনে ৭ লক্ষ...
আজ থেকে সময়সীমা মেনে টিকা দেবে কলকাতা পুরসভা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2021 | 8:42 PM

কলকাতা: বরাদ্দ টিকা তো মিলেইছে। পাশাপাশি হাতে এসেছে তার চেয়েও বেশি কোভিড টিকা। ফলে গতি বাড়তে পারে বাংলার টিকাকরণে। এবার দৈনিক টিকার সংখ্যায় রেকর্ড করার ভাবনা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের।

কিছুদিন আগেও বাংলায় টিকাকরণ কেন্দ্রগুলির ছবি ছিল ভয়াবহ। আগের দিন রাত থেকে দীর্ঘ লাইন। ভোর থেকে লাইন দিয়েও মেলেনি টিকা। হইচই থেকে হাতাহাতি ববাদ টিকাকেন্দ্রগুলিতে সমস্ত ছবিই দেখা গিয়েছে। টিকা পেতে বচসা-মারপিট-অবরোধ দেখেছে রাজ্য। তবে এবার হয়তো সেই ছবি বদলাতে চলেছে।

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলায় টিকাকরণের গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভ্যাকসিনের অভাবে বারবার টিকাকরণ থমকে গিয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য। কিন্তু সেই ছবিটা কিছু বদলেছে অগস্টে। রাজ্যের হাতে অতিরিক্ত টিকা আসায় গতি টিকাকরণে। টিকাপ্রাপ্তির ছবিটা ঠিক কী রকম?

অগস্টে বাংলার জন্য বরাদ্দ ৭৩ লক্ষ টিকা। কিছুদিন আগেই আরও ৭ লক্ষ টিকা এসেছে। এই মাসেই আরও ২২ লক্ষ টিকা রাজ্যে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। টিকা হাতে আসতেই মেগা টিকাকরণের পরিকল্পনা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের।

রাজ্যে একদিনে পাঁচ লক্ষ মানুষের টিকাকরণের রেকর্ড হয়েছে সোমবার। সেই রেকর্ড ভেঙে দিনে সাত লক্ষ টিকাকরণের পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে অতিরিক্ত টিকা পাঠানোর কথা। তারপরেই নয়া রেকর্ডের ভাবনা।

সারা রাজ্যে মোট ১২ হাজার টিকাকেন্দ্র রয়েছে। সক্রিয় নয় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি টিকাকেন্দ্র। অর্থাৎ মোট টিকাকেন্দ্রের অর্ধেক সক্রিয় হলেও পঞ্চায়েত স্তরে টিকাকরণ সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে মেগা টিকাকরণের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত সিরিঞ্জ। কত সিরিঞ্জ লাগবে সেই হিসেবও কষছে স্বাস্থ্য ভবন। সেপ্টেম্বরের মধ্যে জনসংখ্যার ১০ শতাংশ যাতে টিকার আওতায় আসে তা নিশ্চিত করতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খাতায় কলমে রাজ্যের জনসংখ্যা ধরা হয় ১০ কোটি। সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ১ কোটি ১০ লক্ষেরও বেশি। ফলে বাংলা ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

অক্টোবরেই তৃতীয় ঢেউ ! সতর্ক আগেই করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এবার প্রধানমন্ত্রী দফতরে সেই রিপোর্ট জমা পড়ল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তৃতীয় ঢেউ এলে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় রাজ্য কতখানি প্রস্তুত, তার সবিস্তার বিবৃতি দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আরও পড়ুন: WBUHS: রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন বর্ধমান মেডিকেলের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল