COVID19 Protocol: জারি নাইট কার্ফু, পার্ক-সার্কাস থেকে রুবি মোড়, সর্বত্রই চলছে নাকা চেকিং
Kolkata: শুধু পার্ক সার্কাস নয়, সোমবার কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে শুরু হল নাকা চেকিং। রুবি মোড়, পার্কস্ট্রিট, শ্যামবাজার ও পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টে ডিসি সাউথ-ইস্ট সুদীপ সরকারের নেতৃত্বে এই নাকা চেকিং চলে।
কলকাতা: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। কোভিড-কাঁটায় আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য। নবান্ন থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু জারি থাকবে। সেই মতো, শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে সোমবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গেল নাকা চেকিং। পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্টে সোমবার রাতে নাকা চেকিং (Naka Checking) করতে দেখা যায়।
শুধু পার্ক সার্কাস নয়, সোমবার কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে শুরু হল নাকা চেকিং। রুবি মোড়, পার্কস্ট্রিট, শ্যামবাজার ও পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টে ডিসি সাউথ-ইস্ট সুদীপ সরকারের নেতৃত্বে এই নাকা চেকিং চলে। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা কতটা করোনাবিধি মানছেন, তাঁরা মাস্কের ব্যবহার করেছেন কি না এসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যাঁরা রাত দশটার পর যাতায়াত করছেন তাঁরা কেন বাইরে বেরিয়েছেন সেই সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনওরকম কোনও অসঙ্গতি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলেই জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অধিকর্তা।
ইতিমধ্যেই কলকাতায় ফিরেছে কনটেনমেন্ট জ়োন (Containment Zone in Kolkata)। শহরের ২৫ টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পুরনিগমের বৈঠকে সোমবারই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ফিরছে সেফ হোমের ব্যবস্থাও। প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম সহ মোট তিনটি সেফ হোম চালু করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকেই শহরে ফিরছে সেফ হোম।
এর পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন বহুতলগুলির লিফ্ট স্যানিটাইজ় করতে হবে বলেও সোমবার পুরনিগমের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্যানিটাইজ়েশন করতে হবে প্রত্যেক বাজার এলাকাকেও। বাজারে প্রত্যেক বিক্রেতার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই বিষয়ে পুলিশকে কড়া ভূমিকা পালন করতে বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যাঁরা মাস্ক পরবেন না, তাঁরা বাজারে বিক্রি করতে পারবেন না বলেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মেয়র।
সোমবার পুরনিগমের বৈঠকের পর ২৫ টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ্যে কনটেইনমেন্ট জ়োনের সংজ্ঞা বদলেছে। আগে যেখানে একটি বড় এলাকা বা একটি গোটা পাড়াকে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করে এলাকার প্রবেশপথ বাঁশ, পুলিশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হত, এখন পরিস্থিতি তেমন নয়। বর্তমানে ছোট ছোট এলাকা চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এক একটি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োনের মধ্যে একটি বহুতল ফ্ল্যাট বা একটি একক বাড়িও হতে পারে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এক নজরে কলকাতার হটস্পট জোন
ওয়ার্ড ৩১ ক্যানাল সার্কুলার রোড, সিআইটি স্কিম, কাঁকুড়গাছি
ওয়ার্ড ৬৩ এজেসি বোস রোড, বেলভেডিয়ার রোড, জেএল নেহেরু রোড, খিদিরপুর রোড, লর্ড সিনহা রোড, শেক্সপিয়র সরণি
ওয়ার্ড ৬৫ বেকবাগান, বন্ডেল রোড, তিলজলা, তপসিয়া,
ওয়ার্ড ৬৯ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, বেকবাগান রোড, ডোভার রোড, শরৎ বোস রোড, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ
ওয়ার্ড ৭১
এজেসি বোস রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, চৌরঙ্গি রোড, হরিশ মুখার্জি রোড
ওয়ার্ড ৭৪
আলিপুর রোজ, বেলভেডিয়ার রোড, চেতলাহাট রোড
ওয়ার্ড ৮১
টালিগঞ্জ রোড, চারুচন্দ্র অ্যাভিনিউ, দেশপ্রাণ শাসমল রোড
ওয়ার্ড ৯৪
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড, এনএসসি বোস রোড
ওয়ার্ড ১০৯
কালিকাপুর, অজয়নগর, মুকুন্দপুর