CPIM-এর সঙ্গে এক ছাতার তলায় আসছে লিবারেশন?
CPIM: শুক্রবারের বামফ্রন্টের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, একটি করে আসনে লড়াই করবে শরিক দল। বাকি তিনটে আসনে লড়াই করবে সিপিএম। ইতিমধ্যেই সিপিআইএম লিবারেশনের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে সিপিআইএমের।
কলকাতা: আইএসএফের সঙ্গে জোট এখনও নেই। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফেও কোনও জোট বার্তা আসেনি। এবার সিপিআইএম লিবারেশনের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করল সিপিআইএম। শোনা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির আসনটিও তাদের ছাড়া হতে পারে। ২০ অক্টোবর পরবর্তী বামফ্রন্টের বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
শুক্রবার হয় বামফ্রন্টের বৈঠক। এদিনের বৈঠকের আগে পর্যন্ত কংগ্রেসের তরফে বামেদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। এমনকি কংগ্রেস একা লড়াই করতে আগ্রহী, এমন বার্তাও দলের অন্দরে উঠে আসতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার কার্যত জেলার উপরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা করা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে বামফ্রন্টের অন্দরে।
শুক্রবারের বামফ্রন্টের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, একটি করে আসনে লড়াই করবে শরিক দল। বাকি তিনটে আসনে লড়াই করবে সিপিএম। ইতিমধ্যেই সিপিআইএম লিবারেশনের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে সিপিআইএমের। সূত্রের খবর, নৈহাটি আসনটিতে লড়তে সিপিআইএম এল লিবারেশন আগ্রহী। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলা শুরু করেছেন সিপিএমের রাজ্য নেতারা। জেলার তরফে আপত্তি না হলে, লিবারেশনকে এই আসনটি ছাড়া হতে পারে। পরবর্তী বামফ্রন্টের বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
সূত্রের খবর, এদিনের বামফ্রন্টের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এই দু’দিনের মধ্যে কংগ্রেসের তরফে কোন বার্তা এলে ভাল, না হলে বামফ্রন্টের নিজেদের মতো করে লড়াই করবে। অন্যদিকে প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার জানিয়েছেন, জেলা নেতাদের থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। জেলার কর্মীরা যেমন চাইবেন তেমন ভাবেই এগোবেন তাঁরা।
তবে আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে আইএসএফকে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভা আসনটি ছাড়তে পারে সিপিআইএম। তা নিয়ে আইএসএফ এবং সিপিআইএমের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দুই দলের রাজ্য নেতারা কথা বলছেন এ বিষয়ে। কুড়ি তারিখ সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন দুই দলের নেতৃত্বই।