রিটায়ারমেন্টে বয়সই শেষ কথা নয়, ‘ব্যতিক্রম’-এর মাপকাঠি খুঁজে বের করল সিপিএম

CPIM: বয়সের বাঁধনে নেতৃত্বকে বেঁধে ফেলতে চায় দল। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে সিপিএমে এখন থেকে অবসরের বয়স ৭৫। তবে সেই বাঁধন থেকে অবশ্য মুক্তি পেতে পারেন কেউ কেউ। আর তা ব্যতিক্রম হিসাবেই হবে। কিন্তু ব্যতিক্রমের মাপকাঠি কী হবে?

রিটায়ারমেন্টে বয়সই শেষ কথা নয়, 'ব্যতিক্রম'-এর মাপকাঠি খুঁজে বের করল সিপিএম
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2021 | 6:59 PM

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: বয়সের বাঁধনে নেতৃত্বকে বেঁধে ফেলতে চায় দল। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে সিপিএমে এখন থেকে অবসরের বয়স ৭৫। তবে সেই বাঁধন থেকে অবশ্য মুক্তি পেতে পারেন কেউ কেউ। আর তা ব্যতিক্রম হিসাবেই হবে। কিন্তু ব্যতিক্রমের মাপকাঠি কী হবে? ব্যতিক্রম যদি পরে সাধারণ হয়ে ওঠে? সেক্ষেত্রে উপায় একটা বের করেছে সিপিএম। কী সেটা?

উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে সিপিএম পলিটব্যুরোয় ১৭ জন সদস্যের মধ্যে সব চেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির নাম এস রামচন্দ্রন পিল্লাই। তাঁর বয়স ৮৩ বছর। কনিষ্ঠ বলতে এ রাজ্যের মহম্মদ সেলিম ও নীলোৎপল বসু। এই দুজনেরই বয়স ৬৪ বছর। এদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বয়স এখন ৭৬ বছর। আশির কোঠায় বিমান বসুরা। কাজ করতে সমর্থ্য কিন্তু বয়সের মাপকাঠিতে সরাতে গেলে এমন বেশ কয়েকজন বলিষ্ঠ নেতাকেই তো অবসরে পাঠাতে হয়! তাহলে উপায়?

সিপিএম সূত্রে খবর, জনভিত্তিই হবে ব্যতিক্রমের প্রধান মাপকাঠি। সেই মাপকাঠিই বা কীভাবে স্থির হবে? জানা যাচ্ছে, মাপকাঠির ক্ষেত্রে দেখা হবে কোনও নেতার সংশ্লিষ্ট কমিটিতে (এরিয়া, জেলা, রাজ্য ) কতটা চাহিদা রয়েছে। প্রশ্ন আবার আসছে। কীভাবে হবে সেই চাহিদার পরিমাপ?

সিপিএম জানাচ্ছে, ধরা যাক, একটি কমিটিতে ১৫ জন সদস্য আছেন। দেখা গেল একজন নেতার বয়স সংশ্লিষ্ট কমিটিতে থাকার বয়স সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই কমিটির ১৫ জনের মধ্যে ৯-১০ জন সংশ্লিষ্ট নেতাকে রেখে দেওয়ার জন্য সওয়াল করলেন। সেটাই হবে তাঁর চাহিদার পরিমাপ।

তবে তাতেই কি বয়স পেরিয়ে যাওয়া অথচ চাহিদা থাকা নেতারা থেকে যেতে পারবেন কমিটিতে? না। এর পর ওই নেতার চাহিদা সম্পর্কিত বিষয়টি উচ্চতর কমিটিতে আলোচনা হবে। সেই কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। অর্থাৎ, এরিয়া কমিটির নেতা হলে জেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। জেলা হলে রাজ্য কমিটি নেবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিপিএমের বয়সের সর্বোচ্চ সীমা রাজ্য কমিটির ক্ষেত্রে হচ্ছে ৭২ বছর। জেলা কমিটি ৭০ বছর। এরিয়া কমিটি ৬৫ বছর।

তবে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তগুলি মৌখিক না লিখিত ভাবে নেওয়া হবে, তা স্পষ্ট হয়নি। তা নিয়ে সিপিএমের অন্দরে আলোচনা চলছে। আর এই বয়স সীমা বাধার হিসেব নিকেশে এ রাজ্য বা জেলা বা এলাকার সিপিএমের পরিচিত মুখ বহু বাদ পড়বে, তা নিশ্চিত। সে কথা বলছেন সিপিএম নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, বিমানবাবুর মতো নেতাকে অবসরে পাঠাতে চায় না রাজ্য সিপিএম। যদিও বিমানবাবু নিজে মনে করেন, নিয়ম সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। আবার ব্যতিক্রমী খুঁজতে গিয়ে একের পর এক নেতাকে কমিটিতে রেখে দেওয়া হলে সেটা তো পরে সাধারণ হয়ে উঠতে পারে। রাস্তা খোঁজা চলছে। তবে বেশ কয়েকজন পাকা মাথা যে তা সত্ত্বেও বাদ পড়তে চলেছেন, সেটা বলাই যায়। আরও পড়ুন: ‘তিন বছর কোথায় ছিলেন?’ গাড়ির বাইরে তুমুল উত্তেজনা, নির্লিপ্ত দিলীপ বললেন…