DA Agitation: ‘ওঁকে পাটীগণিতের হিসাব বুঝিয়ে আসব, আমাদের টাকা কেটে আমাদেরই DA’, হিসাব কষে দেখিয়ে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা

DA Agitation: TV9 বাংলার প্রতিনিধিরা পৌঁছেছিলেন শহিদ মিনারে। এখানেই বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে গত ৬ দিন ধরে অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। সরকারের এই ঘোষণায় ভীষণ রকম অসন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা।

DA Agitation: 'ওঁকে পাটীগণিতের হিসাব বুঝিয়ে আসব, আমাদের টাকা কেটে আমাদেরই DA', হিসাব কষে দেখিয়ে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা
৩ শতাংশ ডিএ নিয়ে চরম অসন্তোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2023 | 5:16 PM

কলকাতা: মার্চ মাস থেকে রাজ্য সরকারের সমস্ত কর্মচারী অতিরিক্ত তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন। রাজ্য বাজেটে বড় ঘোষণা করলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগামী মার্চ মাস থেকেই বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন তাঁরা। সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি পেনশনভোগীরাও ওই সুবিধা পাবেন বলে বিধানসভায় ঘোষণা করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সরকারি কর্মীদের বক্তব্য অনুসারে, বকেয়া ডিএ ৩৯ শতাংশ। সরকারি কর্মীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ শতাংশ। তাহলে কতটা খুশি সরকারি কর্মীরা?

TV9 বাংলার প্রতিনিধিরা পৌঁছেছিলেন শহিদ মিনারে। এখানেই বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে গত ৬ দিন ধরে অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। সরকারের এই ঘোষণায় অসন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা। এক সরকারি কর্মী বলেন, “রাজ্যকে অচল করে দেওয়া হবে। লাগাতার আন্দোলনের পথে যাব। সাধারণ মানুষ যে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তার দায় সরকারের। সরকার বাধ্য করছে শিক্ষক ও সরকারি কর্মীদের কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করতে। অবিলম্বে ৩৯ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করতে হবে।”

আরেক কর্মীর বক্তব্য, “আমাদের ৩৯ শতাংশ ডিএ সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। এটা দীর্ঘদিনের লড়াই। আমরা ভিক্ষার জন্য এখানে সংসার, বাড়িঘর ছেড়ে বসিনি।” পরবর্তী পদক্ষেপ আলোচনার মাধ্যমে যৌথ মঞ্চ ঠিক করবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। আরও এক সরকারি কর্মীর বক্তব্য, “আমরা ৩৯ শতাংশ বকেয়া চাই। আমরা পাটীগণিত বুঝিয়ে দেব ওঁকে, ৩ শতাংশ দিয়ে ৩৯ শতাংশকে ঢাকা যায় না। আমাদের দাবি যতক্ষণে না আদায় হচ্ছে, লড়াই চলবে।”

এক মহিলা সরকারি কর্মী বলেন, “আমরা এটা নেব না। আমরা আবার আন্দোলনে নামছি। আমাদের যা বাকি রয়েছে, সব দিতে হবে।”

এই নিয়ে সরব বিরোধীরাও। রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “নতুন করে ৩ শতাংশ ডিএ দিলে কী হবে, তাহলে পুরনোটার কী হবে? এটা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সরকারি কর্মীরা তো ভিক্ষা চাইছেন না। রাজ্য সরকার যেমন বলে, তারা কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা চাইছে না। তেমনি তো সরকারি কর্মীরাও চাইছেন না।”

‘দয়ার দান নয়, এটা মৌলিক অধিকার’ স্লোগান তুলে আবারও শহিদ মিনারে অনশন মঞ্চে বসে গেলেন আন্দোলনকারীরা। এক সরকারি কর্মী বলেন, “আমরা কেউ এটা মানছি, ৩ শতাংশের জন্য আন্দোলন করছি না আমরা, পুরোটাই চাই। ”

আরেক আন্দোলনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুললেন। তিনি বলেন, “এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার আমাদের এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়, আমাদের এইচআর-এর টাকা কেটে নিয়ে ডিএ বলছে। আসলে আমরা কোনও ডিএ-এই পাচ্ছিলাম না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। আমরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাই। রাজ্য বলে টাকা কোথা থেকে আসবে, তাহলে আশপাশের রাজ্যগুলো টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে?”

যদিও আগেই সরকারি কর্মীদের এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “যাঁরা ডিএ নিয়ে আন্দোলন করে এই ভাষা বলছেন, তাঁরা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছেন। তাঁরা জানেন কেন্দ্রীয় সরকারি বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রেখেছিলেন বলে এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে। অনেক কষ্টে রাজ্য সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রান্তিক মানুষ, গরিব মানুষদের সামাজিক সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করছে।”