Dengue Death: ২ দিনের জ্বর, শহরে আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু
Dengue Death: ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বর্ষার জল সমস্ত জায়গায় জমে রয়েছে। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারা এটাও জানাচ্ছেন, পুরসভা থেকে সেভাবে কোনও কাজই হচ্ছে না। রাস্তার গর্তে জল জমে থাকছে, সেখান থেকেই মশার বংশবিস্তার হচ্ছে।
কলকাতা: আবারও শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। মৃতের নাম পরেশ সাউ। তিনি ঠাকুরপুকুরের ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বাঁচারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গত শুক্রবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেদিনই তাঁর রক্তপরীক্ষা করানো হয়। ডেঙ্গির রিপোর্ট পজেটিভ আসে তাঁর। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা কিছু নেই। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “মশার আঁতুরঘর হয়ে রয়েছে দু নম্বর বাঁচারপাড়া এলাকা। এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা খুব খারাপ। অল্প বৃষ্টিতেই এলাকায় জল জমে যায়। সেখান থেকে জল সরেও না।”
ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বর্ষার জল সমস্ত জায়গায় জমে রয়েছে। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারা এটাও জানাচ্ছেন, পুরসভা থেকে সেভাবে কোনও কাজই হচ্ছে না। রাস্তার গর্তে জল জমে থাকছে, সেখান থেকেই মশার বংশবিস্তার হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে রাবিশ ফেলেছেন।
ওই এলাকায় এখনও বেশ কিছু পরিবারের সদস্য জ্বরে আক্রান্ত। মাস দুয়েক আগে এই এলাকারই আরও এক জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়। তারপরও কেন হুঁশ ফেরেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
ডেঙ্গি মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে নবান্নের। সোমবারই নবান্নে একটি বিশেষ বৈঠক হয়েছে। ডেঙ্গি রোধে ৯ পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। মৃত্যু ঠেকাতে এমআর বাঙুরে চিকিৎসায় বিশেষ নজর দিয়েছে নবান্ন। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ভেক্টর কন্ট্রোল থেকে সরানোর নির্দেশ পুরসভাগুলিকে। ১২৭ পুরসভার মধ্যে ৫৫ পুরসভায় ডেঙ্গির বিপদসঙ্কেত। প্রয়োজনে এজেন্সি দিয়ে জঞ্জাল সাফাইয়ের সিদ্ধান্ত। পঞ্চায়েত, ব্লক স্তরে জঞ্জাল সাফাইয়ের পরিকাঠামো নির্মাণ। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারে জোর।