Dengue in West Bengal: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার পরীক্ষায় যেন দেরি না হয়, গাইডলাইন দিল স্বাস্থ্য দফতর
Dengue in West Bengal: প্রত্যেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর হিসেব রাখা হয়।
কলকাতা: বৃষ্টির মরশুমে প্রকোপ বেড়েছে ডেঙ্গির। গত কয়েকদিনে একাধির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে রাজ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় দফায় বসছে বৈঠক। বৃহস্পতিবারই নবান্নে বৈঠক হয়েছে এ বিষয়। এদিনই হাসপাতালগুলি ও চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন।
নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, পরীক্ষার বিষয়টাতে এতটাই জোর দিতে হবে যাতে কোনও ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার ঘটনা চোখ এড়িয়ে না যায়, পরীক্ষায় যেন দেরীও না হয়। প্রত্যেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর হিসেব রাখা হয়।
ডেঙ্গি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২ থেকে ৭ দিন জ্বরে অসুস্থ থাকলেও পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া মাথা ব্যাথা, রক্তক্ষরণ, দেহে ব়্যাশ বেরনোর মতো উপসর্গ থাকলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। অর্থাৎ মশাবাহিত এই দুই রোগ নিয়ে যাতে কোনও রকম গা ছাড়া মনোভাব না দেখা যায়, সে ব্যাপারেই সতর্ক করেছে রাজ্য।
অন্যদিকে, নবান্নের বৈঠকের পরও একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ডেঙ্গি দমনে নামতে চলেছে রাজ্য। সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। স্বাস্থ্য, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। ৯০০০ চিকিৎসক, প্যারা মেডিক্যাল কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফিভার ক্লিনিকের ওপর জোর দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, যাঁদের ডেঙ্গি সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাঁরা বেশিরভাগই বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। প্রতিবেশী দেশের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যে উদ্বেগজন সে কথা জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও।