Dilip Ghosh: ‘বিরোধী বলেই গালাগালি দেব! পরিবর্তন হোক এমন রাজনীতি’, দিলীপের মুখে শিষ্টাচারের বাণী

Political Manner: বিরোধীদের সঙ্গে সদ্ভাব রাখা, চরিত্রহনন না করার মতো বিষয়ে জোর দিলেও তাঁর গলাতে অতীতে এমন অনেক বক্তব্য উচ্চারিত হয়েছে, যা শালীনতার সীমা অতিক্রমকারী বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Dilip Ghosh: ‘বিরোধী বলেই গালাগালি দেব! পরিবর্তন হোক এমন রাজনীতি’, দিলীপের মুখে শিষ্টাচারের বাণী
টিভি৯ বাংলায় দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2022 | 4:17 PM

কলকাতা: তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাদের বিরোধীদের দাওয়াই দেওয়ার কথা বললেই পাল্টা দিতেন তিনি। শাসকের হুঙ্কারের সামনে দিলীপের কথা ‘চাঙ্গা’ করে দিত দলের কর্মীদের। তা বলতে গিয়ে বিভিন্ন বিতর্কের জড়িয়েছেন তিনি। তাঁর বেশ কিছু মন্তব্য নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে বিস্তর। কিন্তু সে সব সমালোচনার মুখেও দিলীপ থাকতেন ভাবলেশহীন। সিবিআই নিয়ে মন্তব্যের পর ফের খবরের শিরোনামে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। এর পর ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হয়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বিষয়টি উঠে এসেছে তাঁর কথায়। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে।

সিবিআইয়ের কার্যকারিতা নিয়ে মন্তব্যের পর বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলীপের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। বঙ্গবিজেপি-তে কোণঠাসা দিলীপকে কি ঘাসফুলের পথে পা বাড়িয়েছেন, এ নিয়ে গত কয়েক দিনে বাংলা সংবাদমাধ্যমে আলোচনাও হয়েছে বিস্তর। এই পরিস্থিতিতেই ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে মমতার রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রশংসা করেন দিলীপ। এর পরই টিভি৯ বাংলার তরফে প্রশ্ন করা হয়- দিলীপ ঘোষের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রে প্রশংসা, অপর দিকে তৃণমূলের মুখে দিলীপ ঘোষের প্রশংসা। এটা কি মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং?

এর জবাব দিতে গিয়েই রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বিষয়টি উঠে এসেছে দিলীপ ঘোষের কথায়। তিনি বলেছেন, “বিরোধী দলের লোক মানেই তাঁকে জুতোপেটা করব, গালাগাল দেব, চামড়া গুটিয়ে নেব, ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে টানাটানি করব- এই রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে বলে রাজনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনও আশা নেই। আমি চাই এর পরিবর্তন হোক।” রাজনৈতিক সৌজন্যতা তিনিও যে তা বজায় রাখেন, এ দাবিও করেছেন দিলীপ। টিভি৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটরকে বলেছেন, “আপনি জিজ্ঞাসা করুন, যে কোনও পার্টির যে কোনও নেতাকে। যাঁদের সঙ্গে আমার দেখা হয়। তাঁর সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক। এক বারও দেখা হয়েছে, এরকম লোকের কাছেও জানতে পারেন। এখানে আবার অনেকে দেখা করতে পারেন না। এক সঙ্গে ছবি তুলতে বা চা খেতে পারেন না। ইস্যু তৈরি হয়ে যাবে। এই মানের রাজনীতি আমি ঘৃণা করি। এ সবের উপর দিয়ে আমি পা দিয়ে হেঁটে যাই। সে জন্যই দিলীপ ঘোষ দিলীপ ঘোষ।”

বিরোধীদের সঙ্গে সদ্ভাব রাখা, চরিত্রহনন না করার মতো বিষয়ে জোর দিলেও তাঁর গলাতে অতীতে এমন অনেক বক্তব্য উচ্চারিত হয়েছে, যা শালীনতার সীমা অতিক্রমকারী বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। বিধানসভা ভোটের সময় পায়ে চোট পাওয়া মুখ্যমন্ত্রীকে হাফপ্যান্ট পরার পরামর্শ দিয়ে প্রবল সমালোচিত হয়েছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের মতো সরাসরি হুমকি না দিলেও, অতীতে শাসককে মোকাবিলা করতে কর্মীদের উদ্দেশে তিনি যে ধরনের কথা বলতেন, তার নির্যাস ছিল- ইটের বদলে পাটকেল নয়, ইটই মারুন। সেই দিলীপের মুখেই এ দিন উঠল সৌজন্য-বাণী।