Dilip Ghosh on Bengal BJP: ‘দিদিমণি ফিশফ্রাই ডিপ্লোম্যাসি চালু করেছিলেন…বাবুল ওই করে ফেঁসেছে’

Kolkata: বাবুলের প্রসঙ্গটি পৃথক। বছর চারেক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সভা সেরে রাজভবনে ফেরার পথে তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Dilip Ghosh on Bengal BJP: 'দিদিমণি ফিশফ্রাই ডিপ্লোম্যাসি চালু করেছিলেন...বাবুল ওই করে ফেঁসেছে'
দিলীপের মন্তব্য, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2022 | 12:54 PM

কলকাতা: বরাবরই চাঁচাছোলা  বক্তব্য তাঁর। সম্প্রতি দলের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে যে বিক্ষোভের আঁচ মুহুর্মূহু প্রকাশ্যে আসছে তাতে কার্যত রাজ্যের বিরোধী দলের সাংগঠনিক পরিকাঠামো নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে দলের অন্দরের এই ‘বিদ্রোহ’ নিয়ে বিশেষ ভাবতে নারাজ তিনি। উল্টে, ‘দলে সব ঠিকই রয়েছে’ এমনই বার্তা দিয়েছেন তিনি। তিনি, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুরদের বনভোজন প্রসঙ্গে এ বার ‘পিকনিক পলিটিক্স’-এর যুক্তি উড়িয়ে কার্যত তৃণমূলকে নিশানা করলেন দিলীপ (Dilip Ghosh)।

বৃহস্পতিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ সেরে ফেরার পথে দিলীপের মন্তব্য, ” শান্তনু পিকনিক করছে তো কী হয়েছে! আমিও কাল পিকনিক করেছি। সবাই পিকনিক করছে। পিকনিকে সবাই একত্রিত হয় । পিকনিক ডিপ্লোম্যাসি? দিদিমণি ফিস ফ্রাই ডিপ্লোম্যাসি শুরু করেছিলেন। বাবুল ওই করে ফেঁসে গেছিল। দুনিয়া পাল্টাচ্ছে। এই প্যাটার্ন ও পাল্টাচ্ছে। কাম টুগেদার । থিঙ্ক টুগেদার।”

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে ফিশফ্রাই খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বামেদের শীর্ষে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। রাজ্যে তখন পরিবর্তনের হাওয়ায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বামেরা। একাধিক কর্মী ঘরছাড়া, বহু দলীয় কর্মী খুন হচ্ছেন, তবুও বামেদের শীর্ষ নেতারা বিশেষ করে সিপিএম নেতৃত্ব দলের কথা চিন্তা না করে কেবল বৈঠক করছেন ও নবান্নের সভাঘরে বসে ফিশফ্রাই খাচ্ছেন এমনই অভিযোগ ওঠে।

অন্যদিকে, বাবুলের প্রসঙ্গটি পৃথক। বছর চারেক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সভা সেরে রাজভবনে ফেরার পথে তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ঝালমুড়ি খাইয়েছিলেন। সেই নিয়ে নানারকম আলোচনাও হয়েছিল। অবশেষে ২০২১ সালে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। দল ছাড়ার পর বিভিন্ন সময়ে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ স্পষ্ট হয়েছিল। সেই ঘটনার পর অনেকদিন কেটে গিয়েছে।

আচমকা, পুরনো প্রসঙ্গ কেন উত্থাপন করলেন দিলীপ? কারণ, বর্তমান রাজ্য বিজেপির অবস্থা। নেতারা যেভাবে একের পর এক বিক্ষোভ প্রকাশ করছে, একই সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর যেভাবে বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করে চলেছেন তাতে বিজেপির সাংগঠনিক পরিকাঠামোর দৃঢ়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এসব পাত্তা দিতে নারাজ দিলীপ। তাঁর স্পষ্ট দাবি, পিকনিক তিনিও করছেন, এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পিকনিক মানুষকে আরও একত্রিত করে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই আরও একটি বনভোজনের আয়োজন করেছেন শান্তনু ঠাকুরনগরের ষষ্ঠী তলা এলাকায়। সেখানে বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতারা আসতে পারেন। আসতে পারেন সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারাও। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari on Shantanu Thakur: ‘শান্তনু আমার ভাই, সহকর্মী…কোনও কথা নয়’