Health Department: ED-র কাছে নালিশের পর ‘উধাও’ সুশান্ত রায়ের নীলবাতি গাড়ি
Health Department: সম্প্রতি সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে বেআইনি সম্পত্তি এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডি'র দ্বারস্থ হয়েছিলেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস।
কলকাতা: নীলবাতি গাড়ি নেই। নেই রক্ষীও। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুশান্ত রায়ের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে জোর জল্পনা স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সুশান্ত রায়কে ‘গুরুত্ব’ না দেওয়ার বার্তা গিয়েছে। আর এরপরই নীলবাতির গাড়ি এবং রক্ষী সরে গিয়েছে। সম্প্রতি সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে বেআইনি সম্পত্তি এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডি’র দ্বারস্থ হয়েছিলেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস। তার কিছুদিনের মধ্যেই এই ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশাসনিক শীর্ষস্তরের সঙ্গে সুশান্ত রায়ের দূরত্ব কি বাড়ছে? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সুশান্ত রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব বাড়ায় ওএসডি পদে থাকার জন্য যে গাড়ি, রক্ষী পেতাম তা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ মেডিক্যাল কাউন্সিলের জন্য এখন কলকাতাতেই বেশিরভাগ সময় থাকতে হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের ওএসডি পদ রয়েছে। কাজের চাপের জন্য নীলবাতি লাগানো গাড়ি, রক্ষী ছেড়ে দিলাম।’
চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুশান্ত রায় কোভিডের সময় উত্তরবঙ্গের ওএসডি হন। স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরে কেউ কেউ বলেন, সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তরের ঘনিষ্ঠ এক অস্থি বিশেষজ্ঞদের বদান্যতায় সুশান্ত রায়ের এই পদপ্রাপ্তি। এরপর যত সময় গিয়েছে ক্রমশ ক্ষমতা বেড়েছে চক্ষু বিশেষজ্ঞের। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের বদলি প্রক্রিয়া, অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, বিভাগীয় প্রধান, এমনকী স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ স্বাস্থ্য ভবনের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে কে বসবেন সে বিষয়েও সুশান্ত রায়ের মতামত গুরুত্ব পেত বলে শোনা যায়।
বর্তমানে সুশান্তবাবু রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি। এমন অভিযোগও আছে যে এই পদে নির্বাচিত হওয়ার পর সুশান্ত রায়ের অঙ্গুলিহেলনেই এসএসকেএমের নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক অর্পিতা রায়চৌধুরীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়। নীল বাতি সরে যাওয়ায় সুশান্ত বাবু যে যুক্তিই দিন, বিরোধীরা মনে করছেন ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে তাঁর।