Dengue in West Bengal: ডেঙ্গিতে বেশি ভুগছেন কমবয়সিরাই? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
Dengue in West Bengal: সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, ডেঙ্গির প্রকোপ এবার বেশি পড়ছে তুলনায় অল্পবয়সিদের উপর। কম বয়সিদের মধ্যে যে এবার ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি হওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ও।
কলকাতা: ডেঙ্গির দাপট ক্রমেই বাড়ছে বাংলায়। ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের একের পর এক মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। শুক্রবারও ডেঙ্গি আক্রান্ত এক তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ডেঙ্গি আক্রান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তারও কিছুদিন আগে শহরে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। সেই কিশোরও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিল। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, ডেঙ্গির প্রকোপ এবার বেশি পড়ছে তুলনায় অল্পবয়সিদের উপর। কম বয়সিদের মধ্যে যে এবার ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি হওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ও।
তবে কেন এই ধরনের ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, সেটি নিয়ে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা নেই চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ের কাছে। তিনি যেসব অল্পবয়সি ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের দেখছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই সময়মতোই চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসাও ঠিকঠাকভাবেই হচ্ছে। কিন্তু কেন অল্পবয়সিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, সেটি স্পষ্ট নয় তাঁর কাছে।
কী কী ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এক্ষেত্রে?
চিকিৎসক যোগীরাজ রায় জানাচ্ছেন, উপসর্গের ক্ষেত্রে আলাদা বিশেষ কিছু থাকছে না। ডেঙ্গির ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব উপসর্গ দেখা যায়, সেগুলিই থাকছে। তবে এর পাশাপাশি কারও কারও ক্ষেত্রে পেট ব্যথা, প্যানক্রিয়াটাইটিস সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে আবার চোখের নার্ভের ক্ষেত্রে সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। যদিও সেই সমস্যাগুলি আবার ঠিকও হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তিনি।
কোমর্বিডিটি না থাকলেই কাটছে না দুশ্চিন্তা
এর পাশাপাশি আরও একটি আশঙ্কার কথাও শোনালেন চিকিৎসক যোগীরাজ রায়। অনেকক্ষেত্রেই তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন, যাঁদের কোমর্বিডিটি নেই, তাঁদের শারীরিক অবস্থা হঠাৎ করে অবনতি হয়ে যাচ্ছে। অনেকক্ষেত্রেই তা মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছে বলেই মনে করছেন তিনি।
সাধারণ মানুষজনের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, যদি কোনও কিছু অস্বাভাবিক মনে হয় ডেঙ্গিতে, অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার জন্য এবং নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তাঁর ব্যাখ্যা, অন্তত দু’দিনে একবার করে রোগীকে চিকিৎসক না দেখেন, তাহলে ডেঙ্গি রোগীর শারীরিক অবস্থা ভাল হচ্ছে নাকি খারাপ হচ্ছে না নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।