Ration Scam: কীভাবে চলত রেশনের কালো চক্র? কেলেঙ্কারির মোডাস অপারেন্ডি ফাঁস করল ED

Ration Scam: অভিযোগ উঠছে, ধান কেনার ক্ষেত্রে ভুয়ো প্রকিওরমেন্ট করা হয়েছে এবং রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে। কীভাবে চলছিল এই ‘অসাধু’ কারবার? সেই গোটা বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

Ration Scam: কীভাবে চলত রেশনের কালো চক্র? কেলেঙ্কারির মোডাস অপারেন্ডি ফাঁস করল ED
রেশন মামলার তদন্তে ইডিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2023 | 11:43 PM

কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই গুচ্ছ গুচ্ছ তথ্য ইডির অফিসারদের হাতে এসেছে। রেশন মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন রয়েছেন ইডির হেফাজতে। এই মামলায় চালকল, আটাকলের মালিক তথা প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানও গ্রেফতার হয়েছেন ইডির হাতে। অভিযোগ উঠছে, ধান কেনার ক্ষেত্রে ভুয়ো প্রকিওরমেন্ট করা হয়েছে এবং রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে। কীভাবে চলছিল এই ‘অসাধু’ কারবার? সেই গোটা বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

ইডির তদন্ত শুরুর আগে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের কাছে যে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছিল, সেই সংক্রান্ত বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে। ইডির দাবি, রাজ্য পুলিশের কাছে বেশ কিছু এফআইআর হয়েছিল, যেখানে অভিযোগ ছিল রেশনের আটা বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই মজুত করা হচ্ছিল এবং বিক্রি করা হচ্ছিল। আবার কলকাতা পুলিশের কাছেও বেশ কিছু এফআইআর হয়েছিল বলে দাবি ইডির। সেই এফআইআরগুলিতে অভিযোগ ছিল, ভুয়ো কৃষকদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে শস্যের ন্যূনতম সহায়কমূল্য আত্মসাৎ করে নিচ্ছিল চালকল মালিকরা। প্রাথমিকভাবে এই অভিযোগগুলির ভিত্তিতেই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এরপর ইডি তদন্ত শুরু করতেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। অন্ত্যোদয় যোজনা, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ও পিএইচএইচ-এর আওতায় উপভোক্তাদের প্রায় ৩০ শতাংশ রেশন খোলা বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে মুনাফার টাকায় পকেট ভরত রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও মিলের মালিকদের।

এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি রেশন কেলেঙ্কারির আরও এক মোডাস অপারেন্ডি উঠে এসেছে ইডির তদন্তে। চাষিদের জন্য সরকারের থেকে যে ন্যূনতম সহায়কমূল্য বরাদ্দ করা হয়, তা দেদার পকেটে পুরত মিলের মালিকরা। ভুয়ো চাষিদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হত। এর সঙ্গে কিছু সমবায় সমিতিরও যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ ইডির। এরপর সেই ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কৃষকদের জন্য পাঠানো ন্যূনতম সহায়কমূল্য আত্মসাৎ করে নেওয়া হত বলে অভিযোগ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইডি আরও জানিয়েছে, এই মামলায় অন্যতম প্রধান এক অভিযুক্ত জেরায় স্বীকার করেছে এইভাবে কুইন্টাল পিছু প্রায় ২০০ টাকা করে লাভ করত বিভিন্ন চালকল মালিকরা। বছরের পর বছর ধরে এই ‘অসাধু’ কারবার চলে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ফলে এই মামলায় মোট ‘প্রসিড অব ক্রাইম’-এর অঙ্ক ব্যাপক আকারের হতে পারে বলে অনুমান ইডির।