AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ED on Gajaraj Money Recovery: কালো টাকা লেনদেনে জড়িত মন্ত্রীও, বালিগঞ্জ-কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল ED

ED on Gajaraj Money Recovery: বুধবার এক নির্মাণ সংস্থার অফিস থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। সেই টাকার সঙ্গে শাসক দলের যোগ থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

ED on Gajaraj Money Recovery: কালো টাকা লেনদেনে জড়িত মন্ত্রীও, বালিগঞ্জ-কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল ED
বালিগঞ্জের টাকা উদ্ধারে মন্ত্রীর যোগ!
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 4:39 PM
Share

কলকাতা : কয়লা-কাণ্ডের (Coal Scam) তদন্তে নেমেই বুধবার বালিগঞ্জ থেকে নগদ টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল ইডি। শাসক দলের সঙ্গে ওই টাকার যোগ নিয়ে জল্পনা ঘুরছিল বিভিন্ন মহলে। এবার ইডি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করল মন্ত্রীর কথা। গজরাজ গ্রুপের মালিক বিক্রম শিকারিয়া কোনও এক মন্ত্রীর অবৈধ টাকা সাদা করতেন বলেও দাবি করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞপ্তির শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে, ইডি-র কাছে খবর ছিল, কোনও এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করছিলেন। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর জোরাল হচ্ছে শাসক-যোগ। তবে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন বিজেপি নিজেদের দোষ ঢাকতে এভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে।

ইডি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বালিগঞ্জের ধাবার মালিক মনজিৎ সিং গিরেওয়াল ওরফে জিট্টা ভাই-এর মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছিলেন ওই নেতা। সেই সূত্র ধরেই লেনদেনের খোঁজ পায় ইডি। এরপরই তল্লাশি চালাতে গেলে উদ্ধার হয় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।

কেন্দ্রীয় সংস্থা আরও জানিয়েছে, সালাসালর গেস্ট হাউস নামে একটি অতিথিশালা সম্প্রতি কিনে নেন মনজিৎ সিং। বুধবারই সেই সম্পত্তির রেজিস্ট্রি হয় আলিপুরে সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে। গেস্ট হাউসের দর মোট ১২ কোটি টাকা হলেও, খাতায়-কলমে মাত্র ৩ কোটি টাকা দেখানো হয়। বাকি ৯ কোটি টাকা নগদে দেওয়া হয়েছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। আর সেই টাকা গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম শিকারিয়ার অফিসে লেনদেন হয়েছে বলেই জানতে পারে ইডি। ইডি-র বিজ্ঞপ্তির শেষ লাইনে লেখা হয়েছে, মন্ত্রীর অবৈধ টাকা সামলাতেন এই বিক্রম।

কোনও নেতা বা মন্ত্রীর কথা বলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে মনজিৎ সিং-এর সঙ্গে শাসক দলের অনেক নেতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা আরও জানিয়েছে, শুধু নথি নয়, এমন কিছু ছবি বা ভিডিয়ো তাদের হাতে এসেছে যা এই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিজেপি নেতাদের হাতেই বেশির ভাগ অবৈধ টাকা রয়েছে। সে সব দোষ ঢাকতেই অন্যের ওপর অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সারা ভারতে এমনটাই চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’