কয়লা-কাণ্ডে চরমে ইডি-র তৎপরতা, সকালেই শহরের একাধিক অফিসে হানা আধিকারিকদের
Coal Scam: দুটি সংস্থার অফিসে হানা দিয়েছে সিবিআই। ওই সংস্থার সঙ্গে কয়লা-কাণ্ডের যোগ ছিল বলে অনুমান।
কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের কিছু আগেই সামনে আসে কয়লা-কেলেঙ্কারি। এরপর তদন্ত এগোলে উঠে আসে একের পর এক প্রভাবশালীর নাম। শাসক দলের সঙ্গে অভিযুক্তদের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই। ক্রমশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটকদের নামও উঠে আসে এই মামলায়। এবার সেই কেলেঙ্কারির তদন্তে আরও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজ, শনিবার সকালে আচমকা শহরের দুটি জায়গায় হানা দিলেন সংস্থার আধিকারিকরা। এ দিন দুই সংস্থার অফিসে যান তাঁরা। ওই দুই সংস্থার সঙ্গে কয়লা পাচারের যোগ ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। জানা যাচ্ছে, ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকা যেত অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে।
জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ইডির তিনটি দল শহরে তল্লাশি চালাচ্ছে। মল্লিক বাজার ও ডালহৌসির ওই দুই সংস্থার অফিসে গিয়েছেন আধিকারিকেরা। ওই দলে দিল্লি থেকে আসা অফিসারেরাও রয়েছেন বলে খবর। অফিসে হানা দিয়ে ইতিমধ্যেই কর্মীদের বেরতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে একটি স্টিল কোম্পানির অফিস ও অন্যটি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কর্মীদের আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। সংস্থার ডিরেক্টরদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওই আধিকারিকদের দল অন্য জায়গায় তল্লাশিতে যেতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
আগেই এই কয়লা-কাণ্ডে ডাক পড়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরই মধ্যে তলব করা হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে খবর। সকাল ১১ টায় তাঁকে রাজধানীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এই সংক্রান্ত কোনও নোটিস পাননি।
অন্যদিকে ভোটের আগেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে গত সপ্তাহেই জানা যায়, খোদ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা, এবং এই মামলায় জড়িত ৩ আইপিএসকেও তলব করা হয়েছে। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ১ সেপ্টেম্বর। যদিও তিনি করোনার কারণে এই হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে দেওয়া একটি চিঠিতে রুজিরা জানিয়েছেন, তাঁর দুই ছোট সন্তান রয়েছে। করোনা সংক্রমণের মাঝে শারীরিকভাবে একা একা দিল্লি যাওয়া তাঁকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। সেই কারণে রুজিরার আবেদন, তাঁকে যেন তাঁর কলকাতার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি হাজিরা দিতে যাবেন কি না সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। এ ছাড়া, আগামী ৮, ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছে আইপিএস সেলভা মুরুগান, জ্ঞানবন্ত সিং ও শ্যাম সিংহকে। জুলাইয়ের শেষ আর অগস্ট মাসের শুরুতে মোট আইপিএসকে ডেকেছিল ইডি। আরও পড়ুন: আরও জোরদার সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাড় করছে সিবিআই, নিজাম প্যালেসে স্থির হল ‘রণকৌশল’