ED-CBI Search Operation: ভারতীয় সেনার জমি দখলের অভিযোগ, সল্টলেক-সহ ১২ জায়গায় তল্লাশি ED-র
ED-CBI Search Operation: শুক্রবার সাত সকালে শুরু হয় তল্লাশি। অমিত আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বাড়ি থেকে নথি উদ্ধার গোয়েন্দাদের।
কলকাতা : সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে মোট ১২ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সল্টলেকে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকেই। অমিত আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এদিন সকাল ৬ টা ৪০ মিনিট নাগাদ পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি, গড়িয়াহাটেও চলছে তল্লাশি। ভারতীয় সেনার জমি দখল করা ও বিক্রি করার অভিযোগে আগেই এই অমিত আগরওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অমিত আগরওয়ালের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা।
অমিত আগরওয়াল ও তাঁর ব্যবসায়িক সঙ্গীদের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ। তাই অমিত-ঘনিষ্ঠদেরও বাদ দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। সল্টলেকে অমিত আগরওয়ালের বিলাসবহুল বাড়ি। বাড়ির সামনে রয়েছে বিলাসবহুল গাড়িও। সকালেই ইডির টিম পৌঁছে যায় সেখানে। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বাড়ির মধ্যেই রয়েছেন তদন্তকারীরা। টিমে রয়েছেন মহিলা অফিসার। বেশ কিছু নথি এসেছে তাঁদের হাতে।
অন্যদিকে, গড়িয়াহাট তথা যোধপুর পার্কের যে আবাসনে ইডির টিম সকালে যায়, তার নীচে রয়েছে একটি ব্যাঙ্ক, রয়েছে কয়েকটি সংস্থার অফিস। সেই বিল্ডিং-এর চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটটি সঞ্জয় ঘোষ নামে এক ব্যক্তির। সঞ্জয়ের সঙ্গে অমিত আগরওয়ালের কী যোগ ছিল, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি, তবে কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর তাঁর ফ্ল্যাট সিল করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, যোধপুর পার্কের ওই আবাসনের মালিক নাকি সঞ্জয় ঘোষ।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪ টি জায়গায় ও ঝাড়খণ্ডের ৮ টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেই মূলত ভারতীয় সেনার জমি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। ঝাড়খণ্ডের দুই সংস্থার অফিসেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নোনাপুকুরে রয়েছে ওই দুই অফিস। সেখান থেকে নথি উদ্ধারের কাজ চলছে। বেআইনিভাবে জমি দখল করে ও বিক্রি করে কত টাকা পেয়েছিলেন অভিযুক্ত, তা খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।