Loksabha Election: নির্বাচনের আগেই চার জেলাশাসককে সরাল কমিশন, রয়েছে এক বিশেষ কারণ
Election Commission: শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নয়, গুজরাট, পঞ্জাব ও ওড়িশার বেশ কয়েকজন জেলাশাসককেও বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কমিশন আগেই যে গাইডলাইন তৈরি করেছিল সেই অনুসারেই এই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী ছিল সেই গাইডলাইন?
কলকাতা: কয়েকদিন আগেই রাজ্য পুলিশে হয়েছে বড় রদবদল। ডিজি পদ থেকে সরানো হয়েছে আইপিএস রাজীব কুমারকে। এবার লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের এক বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশের বেশ কয়েকটি জেলার জেলাশাসককে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলা। আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। এ রাজ্যে ৭ দফায় হবে ভোট। তার আগে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র জেলাশাসক নয়, বেশ কয়েকজন পুলিশ সুপারকেও বদলি করা হয়েছে। গুজরাট, পঞ্জাব, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে সেই তালিকায়। আইএএস ও আইপিএস হিসেবে যাঁরা পুলিশ সুপার বা জেলাশাসক হয়েছেন, তাঁদেরই ওই পদে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশনে সম্প্রতি একটি বৈঠক হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধু। তারপরই এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের চার জেলার জেলাশাসককে সরানো হয়েছে। চারটি জেলা হল- পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম। এছাড়া ওড়িশার ধেনকানালের জেলাশাসক, কটক ও দেওগড়ের পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। পঞ্জাবের পাঠানকোট, ফাজিলকা, জলন্ধর ও মালেরকোটলার পুলিশ সুপারকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হল। এছাড়া গুজরাটের ছোটা উদয়পুর ও আমেদাবাদ (গ্রামীণ)-এর পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ ক্ষেত্রে বদলির সিদ্ধান্ত একেবারেই গাইডলাইন মেনে নিয়েছে কমিশন। ভোট ঘোষণার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বৈঠক সেরেছে ফুল বেঞ্চ। তারপরই বেশ কিছু বিধিনিষেধ তৈরি করে দিয়েছিল কমিশন। গাইডলাইনে জানানো হয়েছিল, যারা সরাসরি আইএএস হিসেবে ডিএম বা এসপি পদে এসেছেন, তাঁদেরই ভোটের কাজে অংশ নিতে দেওয়া হবে। যাঁরা ডব্লুবিসিএস থেকে পদোন্নতি হয়ে ডিএম হয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর করা হয়েছে।