ভ্যাকসিন পেলেও ভোটকর্মীদের অ্যান্টিবডি তৈরি হবে তো? প্রশ্ন জাগাচ্ছে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট

বাংলার ভোট (Assembly Election) ক্যালেন্ডার দেখার পর কোভিড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-গবেষকেরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, টিকা (Covid Vaccination) নিলেও শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় ভোটকর্মীরা পাবেন তো?

ভ্যাকসিন পেলেও ভোটকর্মীদের অ্যান্টিবডি তৈরি হবে তো? প্রশ্ন জাগাচ্ছে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Feb 28, 2021 | 12:05 AM

কলকাতা: নির্বাচন (Assembly Election) প্রক্রিয়া চলাকালীন সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে সমস্ত ভোটকর্মীদের টিকাকরণের (Covid Vaccination) নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কমিশনেরও সায় রয়েছে এই প্রস্তাবে। আজ থেকে ঠিক একমাস অর্থাৎ ২৭ মার্চ থেকে এ রাজ্যে শুরু হচ্ছে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021)। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ভোটকর্মীদের করোনা-রক্ষাকবচ দেওয়া কি আদৌ সম্ভব এবং বাস্তবসম্মত? এ রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট দেখে এমনই সংশয় প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

তাঁদের বক্তব্য, এখনও বিপুল সংখ্যক ভোটকর্মী প্রথম ডোজ পাননি। প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ পেলেও দেহে রক্ষাকবচ তৈরির জন্য যে সময় দরকার, তা-ও নিশ্চিত করতে ব্যর্থ ভোটের নির্ঘণ্ট। বাংলার ভোট ক্যালেন্ডার দেখার পর কোভিড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-গবেষকেরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, টিকা নিলেও শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় ভোটকর্মীরা পাবেন তো?

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোটকর্মীদের টিকাকরণ। নথিভুক্ত ৫ লক্ষ ভোটকর্মীর মধ্যে এ পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন ২ লক্ষ। প্রথম দফা নির্বাচন শুরুর আগে বাকি ভোটকর্মীদের টিকাকরণের জন্য হাতে রয়েছে মাত্র ২৭ দিন।

আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালেও ভ্যাকসিনের খরচ সাধ্যের মধ্যেই, ঘোষণা কেন্দ্রের

কোভিড চিকিৎসক-গবেষকেরা বলছেন, প্রথম ডোজের পরে দেহে অ্যান্টিবডি পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও কাঙ্খিত অ্যান্টিবডি পেতে সময় লাগে কমপক্ষে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ। তার আগে কোনও ভাবেই অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া সম্ভব নয়।

চিকিৎসক-গবেষকদের এই বক্তব্যই সংশয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে ৬০ উর্ধ্ব এবং ৪৫-৫৯ বছরের কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা সবমিলিয়ে ১.৫-২ কোটি। সব মিলিয়ে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে সুষ্ঠুভাবে টিকা দেওয়াই এখন স্বাস্থ্য দফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম দফার ভোটগ্রহণের সঙ্গে যুক্ত ভোটকর্মীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকা দেওয়া উচিত বলেও মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বঙ্গযুদ্ধ ২০২১: সব খবর পড়ুন এখানে