Enforcement Directorate: কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের’ বিতর্কিত ১৬টি ফাইল-তদন্তে পাল্টা আদালতে ED

Enforcement Directorate: ইডি-র প্রশ্ন, হাইকোর্টে লিখিত দেওয়ার পরেও কেন পুলিশ বারবার জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে হয়রানি করছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবেদনপত্র দাখিল করার অনুমতি দিয়েছেন। এদিনই এই মামলার শুনানি।

Enforcement Directorate: কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ, 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের' বিতর্কিত ১৬টি ফাইল-তদন্তে পাল্টা আদালতে ED
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2023 | 12:01 PM

কলকাতা: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের’ কম্পিউটারের ইডি আধিকারিকের ডাউনলোড করা ১৬টি ফাইল ইস্যুতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দ্বারস্থ ইডি। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, জেনারেল ডায়েরির ভিত্তিতে ইডি আধিকারিকদের বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানার নামে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ। ইডি-র বক্তব্য, এর আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ইডি-কে লিখিত আন্ডার টেকিং দিয়ে জানাতে হয়েছে, তারা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ওই কম্পিউটারে ডাউনলোড করা ওই ১৬ টি ফাইল তদন্তের মধ্যে আনা হবে না। কম্পিউটারও বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।

ইডি-র প্রশ্ন, হাইকোর্টে লিখিত দেওয়ার পরেও কেন পুলিশ বারবার জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে হয়রানি করছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবেদনপত্র দাখিল করার অনুমতি দিয়েছেন। এদিনই এই মামলার শুনানি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই ১৬ টি ফাইল সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে হাইকোর্টে জমা করে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে ১৬টি ফাইলে। প্রাথমিকভাবে ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা করেছিল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি টিম।

প্রসঙ্গত, গত ২১ অগস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কোম্পানিতে রাতভর তল্লাশি চলে। রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-স্টেটমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। তল্লাশির পর ইডি প্রেস রিলিজ করে বিষয়টি জানায়। এর মধ্যেই কোম্পানির এক কর্তা অভিযোগ করে, কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে, যেগুলি অচেনা। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। দেখা যায়, ডাউনলোড করা ১৬ টি ফাইলে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার হস্টেলের নাম রয়েছে। ইডি দাবি করে, তাদের এক আধিকারিক তাঁর মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজছিলেন। এই মামলা যখন এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ওঠে, তখন তিরস্কারের মুখে পড়ে ইডি। এবার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে বিচারপতি সিনহার এজলাসে ইডি।